প্রশ্নের মান - ৫/৬
প্রশ্ন: মালাধর বসুর ভাগবতের অনুবাদ গ্রন্থ টির নাম কী ? উক্ত গ্রন্থ রচনায় তার কৃতিত্ব আলোচনা করো ?
উত্তর:- মালাধর বসুর ভাগবতের অনুবাদ গ্রন্থ টির নাম " শ্রীকৃষ্ণবিজয় " ।
[ ] রামায়ণ ও মহাভারত মহাকাব্য । কিন্তু মধ্য যুগে একখানি পুরাণের ও অনুবাদ হয়েছিল । এটি শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ । ভাগবতের কিয়দংশের প্রথম অনুবাদ কুলীন গ্রামবাসী মালাধর বসু । তিনি প্রাক - চৈতন্যে যুগের এক বিখ্যাত কবি । ভাগবতকে বৈষ্ণব সমাজ ও সম্প্রদায়ের উপনিষদ বা সর্বশ্রেষ্ট গ্রন্থ বলা হয় । মালাধর বসু সেই গ্রন্থের অংশ বিশেষ সরল বাংলায় অনুবাদ করে এদেশে বৈষ্ণব মতের প্রথম সূচনা করেন ।
[ ] ভাগবতে দ্বাদশ টি পর্ব থাকলেও মালাধর বসু শুধু দুই দশম ও একাদশ পর্বের সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করে ' শ্রীকৃষ্ণবিজয় ' বা ' শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল ' রচনা করেন ।
[ ] মালাধর বসুর " শ্রীকৃষ্ণবিজয় " বিখ্যাত গ্রন্থ হলেও বৈষ্ণব সমাজের বাইরে এর বিশেষ প্রচার ছিল বলে মনে হয় না । কারণ কৃত্তিবাসী রামায়ণ ও কালীদাসী মহাভারতের যেমন অসংখ্য পুঁথি পাওয়া যায় " শ্রীকৃষ্ণবিজয় " এর ' বিজয় ' এর অর্থ মনে হয় শ্রীকৃষ্ণের গৌরব কাহিনী বা শোভাযাত্রা বা মঙ্গল কথা । মালাধর বসুর অনুবাদ করা দুটি পর্বের দশম পর্বে কৃষ্ণ জন্ম থেকে দ্বারকালীলা পযন্ত বর্ণিত হয়েছে । একাদশ পর্বে কাহিনীর অংশ যত্র সামান্য কৃষ্ণের অনুত্যাগ ও যদুবংশ ধ্বংস এর প্রধান ঘটনা । এতে নানা তত্ত্ব কথা , ধর্ম তত্ত্ব , আলোচনার মারফত বর্ণিত হয়েছে । তিনি জানতেন নানা তত্ত্ব ও তথ্য ভারে মন্থর গোটা ভাগবত জন সাধারণের রুচিকর হব না । তাই তিনি ভাগবতের দশম ও একাদশ পর্বের সমস্ত বক্তব্য কে যথাসম্ভব সংক্ষেপে অনুবাদ করে যথেষ্ট কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন