শাক্ত পদাবলী অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নের মান - ১/২
১। শাক্ত পদাবলী কাকে বলে ?
উত্তর:- মহাকালী কে নিয়ে যে সমস্ত পদ বা পদাবলী মধ্য যুগে রচিত হয়েছে সেগুলিকে শাক্ত পদাবলী বলে ।
২। শাক্ত পদাবলী কে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী ?
উত্তর:- শাক্ত পদাবলী কে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয় । ক) উমা সঙ্গীত , খ) শ্যামা সঙ্গীত ।
৩। শাক্ত পদাবলী কোন শতাব্দীর। সাহিত্য ?
উত্তর:- শাক্ত পদাবলী অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ। শতাব্দীর। সাহিত্য।।
৪। শাক্ত পদাবলী সূচনা করেন কে ?
উত্তর:- শক্তি সাধক রামপ্রসাদ সেন শাক্ত পদাবলীর সূচনা করেন ।
৫। শাক্ত পদাবলীতে কোন অলংকারের প্রাধান্য বেশি ?
উত্তর:- রুপক অলংকারের ।
৬। আগমনী পর্যায় কে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী ?
উত্তর:- দুই ভাগে । ক) পূর্ব আগমনী , খ) উত্তর আগমনী ।
৭। " যদি এসে মৃত্যুঞ্জয় উমা নেবার কথা কয় "। কার অপর নাম মৃত্যুঞ্জয় এবং কেন ?
উত্তর:- শিবের অপর নাম মৃত্যুঞ্জয় । তিনি মৃত্যু জয় করেছেন বলেই তিনি মৃত্যুঞ্জয় ।
৮। শাক্ত পদাবলীর মূল রস কি ? ইহা কয় প্রকার ?
উত্তর:- শাক্ত পদাবলীর মূল রস বাৎসল্য । ইহা তিন প্রকার - ক) বাৎসল্য , খ) মিলন বাৎসল্য , বিরহ বাৎসল্য ।
৯। ভারতের " শক্তি সাধনা ও শাক্ত সাহিত্য " কার লেখা ?
উত্তর:- শশীভূষণ দাশগুপ্তের লেখা ।
১০। শাক্ত পদাবলীতে তিনটি পদ লক্ষ্য করা যায় কি কি ?
উত্তর:- শাক্ত পদাবলীর তিনটি গুন হল - সত্ত , রজ , তম ।
১১। শাক্ত পদাবলী তে রচিত প্রধান প্রধান চরিত্র গুলি কী কী ?
উত্তর:- উমা , মেনকা , ও গিরিরাজ হিমালয় ।
১২। উমার জন্য মেনকার উদ্বেগের দুটি কারণ নির্দেশ করো ?
উত্তর:- ক) উমার স্বামী শ্মশানে মশানে ফিরে ঘরের ভাবনা ভাবে না ।
খ) শিবের নাইকো পিতামাতা , কারে কইবে দুঃখের কথা ।
১৩। শাক্ত পদাবলীর প্রথম সার্থক সংকলন করেন কে ? কোথা থেকে সংকলন টি প্রকাশিত হয় ?
উত্তর:- শাক্ত পদাবলীর প্রথম সার্থক
সংকলন করেন অমরেন্দ্রনাথ রাত ।
সংকলন টি প্রকাশিত হয় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ।
১৪। " মশান " শব্দটির অর্থ কী ?
উত্তর:- মশান শব্দটির অর্থ সমাধিস্থান বধ্যভূমি ।
১৫। শাক্ত পদাবলী কে অন্য কি নাম দেওয়া হয়েছে ?
উত্তর:- শাক্ত পদাবলীকে কেউ কেউ " মালসী " গান বলেছেন কেউ আবার " প্রার্থনা সঙ্গীত "ও বলেছেন ।
১৬। " কাল সপনে শংকরি মুখ হেরি কি আনন্দ আমরা " পদটি কার কোন পর্যায়ের পদ ?
উত্তর:- পদটি কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের। আগমনী পর্যায়ের পদ ।
১৭। " গিরিরাজ ভিখারী যে শূলপানী , তারে দিয়ে নন্দিনী " - এ খানে নন্দিনী কে ? কেন তার নাম নন্দিনী ?
উত্তর:- এখানে নন্দিনী বলতে উমা কে বোঝানো হয়েছে । আনন্দদায়িনি বলে কন্যা উমার আর এক নাম নন্দিনী ।
১৮। " ভিখারী যে শূলপানী " - কাকে কেন শূলপানী বলা হয় ?
উত্তর:- শিবের হাতে ত্রিশূল থাকে তাই শিব কে শূলপানী বলা হয় ।
১৯। রামপ্রসাদ ছাড়াও অষ্টাদশ শতাব্দীর কোন কবি শাক্ত পদাবলী রচনায় । কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ?
উত্তর:- রামপ্রসাদ ছাড়াও অষ্টাদশ শতাব্দীর কবি কমলাকান্ত ভট্টাচার্য শাক্ত পদাবলী রচনায় কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ।
২০। " নীলকান্ত আদি করি কত রত্ন শোভা করে " - নীলকান্ত কী ?
উত্তর:- নীলকান্ত হল এক জাতীয় দুর্লভ মনিবিশেষ এই মনি ইন্দ্রনীল মনি নামে বিখ্যাত ।
২১। বিজয়া কাকে বলে ?
উত্তর:- অগমনী অনিবার্য ও সম্ভাব্য পরিণতি হল বিজয়া । দশমীর। প্রভাতে প্রীতিগৃহ অন্ধকার করে মেনকা কে শোক সাগরে নিক্ষিপ্ত করে উমা আবার পতিগৃহে যাত্রা করলেন ।
২২। আগমনী ও বিজয়া পর্যায়ে মেনকা কার কার প্রতি ক্ষোভ ও অভিযোগ জানিয়েছেন ?
উত্তর:- আগমনী ও বিজয়া পর্যায়ে মেনকা স্বামী গিরিরাজ , জামাতা শঙ্কর আর অদৃষ্ট কে ক্ষোভ এবং অভিযোগ জানিয়েছেন ।
২৩। মেনকার কাছে মিষ্টতম কী ?
উত্তর:- মেনকার কাছে মিষ্টতম হল কন্যা উমার কণ্ঠস্বর ।
২৪। শাক্ত পদাবলীর কোন পর্যায়ের পদে গীতিকাব্যের লক্ষণ ফুটে উঠেছে ?
উত্তর:- শাক্ত পদাবলীর " ভক্তের আকুতি " পর্যায়ের পদে গীতিকাব্যের লক্ষণ ফুটে উঠেছে ।
২৫। ভক্তের আকুতি পর্যায়ের শ্রেষ্ট পদকর্তা কে ?
উত্তর:- ভক্তের আকুতি পর্যায়ের শ্রেষ্ট পদকর্তা রামপ্রসাদ সেন ।
২৬। " মা আমায় ঘুরাবি কত "। - পদ টি কার লেখা ? কোন পর্যায়ের পদ ?
উত্তর:- পদটি রাম প্রসাদ সেনের লেখা ।
ভক্তের আকুতি পর্যায়ের পদ ।
২৭। " ভবের গাছে বেঁধে দিয়ে যা , পাক দিতেছ অবিরত " - ভবের গাছ কী ? পাক দেওয়ার অর্থ কী ?
উত্তর:- ভবের গাছ বলা হয়েছে সংসার কে ।
ঘানীতে বলদ কে বেঁধে দিয়ে কলু যেমন পাক দেয় , তেমনি জগজ্জননী সংসারে বেঁধে দিয়ে পদ কারকে যেন পাক দিচ্ছেন ।
২৮। কোন পর্যায়ের পদে মামলা মোকদ্দমার প্রসঙ্গ আছে ?
উত্তর:- ভক্তের আকুতি পর্যায়ের " মা গো তারা ও সংকরী " পদটিতে মামলা মোকদ্দমার প্রসঙ্গ আছে ।
২৯। পাশা খেলায় কোন কোন দান কে সৌভাগ্যসূচক মনে করা হয় ?
উত্তর:- পাশা খেলায় আঠারো , ষোলো ও বারো র দান কে সৌভাগ্যসূচক মনে করা হয় ।
৩০। "হৃদয় রাস মন্দিরে দাড়াও মা ত্রিভঙ্গ হয়ে ।" পদটির রচয়িতাকার কে ? পদ টি কোন পর্যায়ের পদ ?
উত্তর:- পদটির রচয়িতাকার হলেন নবাই ময়রা ।
পদটি ভক্তের আকুতি পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত ।
৩১। " ডুবিল জলধি জলে প্রাণের কুমার । " এ খানে কার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর:- মেনকার একমাত্র পুত্র " মৈনাক "র সমন্ধে বলা হয়েছে ।
৩২। "বল গিরি এ দেহে কি প্রাণ রহে আর " উক্ত পদ টি কার রচনা ? এটি কোন পর্যায়ের পদ ?
উত্তর:- পদটি রচনা করেছেন ঈশ্বর গুপ্ত। এটি আগমনী পর্যায়ের পদ ।
৩৩। " তুমি তো মা .... " এ খানে কার মনবেদনা ফুটে উঠেছে ?
উত্তর:- এখানে উমার মনবেদনা ফুটে উঠেছে ।
৩৪। ".... ও মা ভেসে গেল নয়ন জলে " - এ খানে কার কাঁদার কথা বলেছেন ?
উত্তর:- এখানে শিবের কাঁদার কথা বলা হয়েছে ।
৩৫। " তুমি তো মা ছিলে ভুলে " পদটির রচয়িতাকার কে ? পদ টি কোন পর্যায়ের ?
উত্তর:- পদটির রচয়িতাকার হলেন গিরিশচন্দ্র ঘোষ । এটি আগমনী পর্যায়ের পদ ।
৩৬। " গিরিরাজ হে , জামায়ে ...." এটি কোন পর্যায়ের পদ ?
উত্তর:- আগমনী পর্যায়ের পদ এটি ।
৩৭। " আমার শিব তো আছেন ভাল ? " কে কার প্রতি এই উক্তি করে ?
উত্তর:- মেনকা তার মেয়ে উমার কাছে জামাতা শিবের কথা জানতে চেয়েছেন।
৩৮। " গিরিরাজ হে , জামায়ে এনো মায়ের সঙ্গে । " পদটির রচয়িতাকার কে ?
উত্তর:- অক্ষয়চন্দ্র সরকারের পদ ।
৩৯।" উমা কেঁদে করে অভিমান .." উমার অভিমানের কারণ কি ?
উত্তর:- উমা চাঁদ দেখে তাকে ধরার আশা করেছে কিন্তু চাঁদ ধরা যায় না শুনে এই অভিমান ।
৪০। " কবে যাবে বল গিরিরাজ ..." পদটির ভনিতা অংশ লেখো ?
উত্তর:- কেমনে সহিবে এত মায়ের প্রানেতে ।
৪১।" কবে যাবে বল গিরিরাজ ..." এটি কোন পর্যায়ের পদ ?
উত্তর:- এটি আগমনী পর্যায়ের পদ ।
চার জন শাক্তকবির নাম লেখো
উত্তরমুছুন