নীলধ্বজের প্রতি জনা " পত্রিকায় জনা তার স্বামী নীলধ্বজের আচরণের বিরুদ্ধে যে যে উক্তি উপস্থাপন করেছে তা নিজের ভাষায় লেখো
প্রশ্নের মান - ৫/৬
প্রশ্ন: " নীলধ্বজের প্রতি জনা " পত্রিকায় জনা তার স্বামী নীলধ্বজের আচরণের বিরুদ্ধে যে উক্তি উপস্থাপন করেছে তা নিজের ভাষায় লেখো ?
উত্তর:- বীরাঙ্গনা কাব্যের একেবারে শেষ তথা একাদশ পত্রিকা " নীলধ্বজের প্রতি জনা " পত্রিকা । এই পত্রিকাটি জনা তার স্বামী নীলধ্বজের প্রতি প্রেরণা করেছেন । অর্জুন অর্শ্বমেধ ঘোড়া ধরার অজুহাতে নীলধ্বজ পুত্র প্রবীর কে সমরে হত্যা করে । তারপরও নীলধ্বজ কাপুরুষের মতো বিরোধিতা না করে অর্জুন ও কৃষ্ণ কে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন । কিন্তু জনা স্বামীর এই কাজ সমর্থন করেন না । তিনি তাঁর স্বামী কে যেভাবে সমরোৎসহ যুগিয়েছেন তা দুর্লভ । পরিশেষে আত্মাভিমানে তিনি গৃহ ত্যাগ করেছেন এবং জাহ্নবীর জলে সলিল সমাধি গ্রহণ করেছেন । এ খানেই তিনি বীরাঙ্গনা ।
[ ] জনা সাধারণ বাঙালীর বধূর মতো নীলধ্বজ কে ভয় দেখিয়ে শেষে জাহ্নবীর জলে আত্মবিসর্জন দিতে চেয়েছেন । স্বামী নীলধ্বজ কে তিনি জানিয়েছেন যে , নীলধ্বজ ভুল করেছেন পার্থকে সমাদর করে । তিনি পার্থর কূল সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে ধরেন । দ্রৌপদীকে তিনি কুলটা ও অর্জুন কে " জারজ " সন্তান বলেছেন । কুন্তী তার কাছে " শৈরিনি " । তিনি আরো যুক্তি দেখিয়েছেন যে তিনি " ক্ষত্রকুলবালা " কিন্তু যদিও তিনি যথার্থ ক্ষত্রিয়তা দেখাতে সক্ষম হননি । তবুও স্বামীকে প্রেরণা দিতে এতটুকু কম করেননি । জনার অভিমত যিনি নমস্য হবেন , জন্মগত দিক থেকে তিনি হবেন বিশুদ্ধ ও পবিত্র আর কর্ম ও চরিত্রের দিক থেকেও তিনি হবেন , আদর্শ স্থানীয় ও ন্যায় পরায়ন ।
[ ] জনার এই যুক্তি ও বিচার বিশ্লষণ ক্ষমতা তাকে অবশ্যই আধুনিক চরিত্রে পরিণত করেছে । নমস্য ও শ্রধেয় চরিত্র কে তিনি নিজের মতো করে বিচার করতে পেরেছেন ।
কোন মন্তব্য নেই