সারদামঙ্গল অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১। কবি বিহারীলালের জন্ম কত সালে ?
উত্তর:- কবি বিহারীলালের জন্ম ১৮৩৫ সালে ২১ শে মে ।
২। কবির লেখা সারদামঙ্গল কাব্য ছাড়া অন্য একটি কাব্যের নাম করো ?
উত্তর:- সারদামঙ্গল কাব্য ছাড়া " সাধের আসন " কবির আর একটি কাব্যগ্রন্থ ।
৩। সারদামঙ্গল কাব্যর প্রথম চরণ টি উদ্ধত করো ?
উত্তর:- সারদামঙ্গল কাব্যর প্রথম চরণ টি হল " নয়ন অমৃতরাশি প্রেয়সী আমার " ।
৪। " ওই কে অমরবালা দাড়ায়ে উদয়াচলে " - অমরবালা কে ?
উত্তর:- অমরবালা এ খানে দেবী সারদা ।
৫। সারদামঙ্গল কয় সর্গে বিভক্ত ?
উত্তর:- সারদামঙ্গল পাঁচটি সর্গে বিভক্ত ।
৬। সারদামঙ্গল প্রথম কোন পত্রিকার প্রকাশিত হয় ?
উত্তর:- " আর্যদশন " পত্রিকায় ১২৮১ সালে প্রকাশিত হয় ।
৭। " সারদামঙ্গল " কাব্যর পরিপূরক কাব্য কি ? কাব্যটি কার অনুরোধে লেখা হয় ?
উত্তর:- সারদামঙ্গল কাব্যের পরিপূরক " সাধের আসন " । রবীন্দ্রনাথের নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবীর অনুরোধে লেখেন ।
৮। ত্রিবিধ বিরহ কী ?
উত্তর:- মৈত্রী বিরহ , প্রীতি বিরহ , সরস্বতী বিরহ ইত্যাদি । এগুলিকে ত্রিবিধ বলে ।
৯। সারদামঙ্গল কাব্য কয়টি গীতি আছে ?
উত্তর:- সারদামঙ্গল কাব্য মোট সাতটি গীতি আছে ।
১০। সারদা কে পেলে কবির কি মনে হয় তার ভাষায় বলো ?
উত্তর:- সদানন্দ মনে থাকি / শ্মশান অমরাবতী দু ই ভালো লাগে ।
১১। কবি সারদা কে কি বলে সম্বোধন করেছেন ?
উত্তর:- নয়ন অমৃতরাশি প্রেয়সী এবং মানসমরালি বলেছেন ।
১২। " কেমন পাকম ধরি "। - পাকম কি ?
উত্তর:- পাকম হল ময়ূরের পেখম ।
১৩। সারদা কে কবি কীভাবে দেখেছেন ও ভেবেছেন ?
উত্তর:- কবির , যোগীর ধ্যান / ভোলা মাহেশের প্রাণ ।
কবি সারদা কে এইভাবেই দেখেছেন ও ভেবেছেন ।
১৪। বিহারীলাল " সারদা " কে কোন কোন রূপে কল্পনা করেছেন ?
উত্তর:- বিহারীলাল " সারদা " কে কন্যা , জায়া ও জননী রূপে কল্পনা করেছেন ।
১৫। বিহারীলাল চক্রবর্তী কে রবীন্দ্রনাথ কি আখ্যা দিয়েছিলেন ?
উত্তর:- বাংলা সাহিত্যের " ভোরের পাখি " ।
১৬। " সারদামঙ্গল " কাব্যের শুরুতে একটি পত্র আছে কবি এই পত্রখানি কাকে লিখেছিলেন ?
উত্তর:- বন্ধু অনাথবন্ধু রায়কে । ৪ঠা কার্তিক ১২২৮ বঙ্গাব্দে ।
১৭। কবি এক পত্রে তিনকালের সরস্বতী মূর্তির প্রসঙ্গে এনেছেন এই তিন সরস্বতী বলতে কি বুঝিয়েছেন ?
উত্তর:- বাল্মীকি মুনির পূর্ববর্তী কালের সরস্বতী , বাল্মীকির কালের সরস্বতী , কালিদাসের কালের সরস্বতীর কথা বলা হয়েছে ।
১৮। সরস্বতী কে বিহারীলাল কি বলেছেন ?
উত্তর:- সরস্বতী কে বিহারীলাল সারদা বলেছেন ।
১৯। বিহারীলালের জীবনের মূলমন্ত্র কি ছিল ?
উত্তর:- প্রেম , ভক্তি , ভালোবাসা ,বিহারীলালের জীবনের মূলমন্ত্র ।
২০। কবি কোন বিশেষ রজনীতে ছাদের উপরে গান গাওয়ার কথা বলেছেন ?
উত্তর:- শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় রজনীতে ।
২১। বিহারীলালের সারদা বর্ণনা কীভাবে রবীন্দ্রনাথ প্রভাবিত করেছিল ?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ তাঁর মানসসুন্দরী রচনায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ।
২২। " মানসমরালী আমার কোথা গেল বল না ।" মানসমরালী কে ?
উত্তর:- কবির মানস প্রতিমা দেবী সরস্বতী ।
২৩। " সোনামুখী তরিখানী গিয়েছে কোথায় ?" কেন এই প্রশ্ন ?
উত্তর:- স্বপ্নবিষ্ট কবির স্বপ্ন যখন ভেঙ্গে যায় , তখন সারদার অন্তধান হেতু কবির মন যেন দুঃখে কাতর হয়ে পড়ে । সৌন্দর্য লক্ষ্মীর আবিভাব ও অন্তধানে তার মনে অশান্তি সৃষ্টি করে । মন্দাকিনীর কাছে তাই তাঁর প্রশ্ন - " সোনামুখী তরিখানী গিয়েছে কোথায় ?" ।
২৪। " সারদামঙ্গল " কাব্যের কোন কোন পাশ্চাত্য কবির প্রভাব পড়েছে ?
উত্তর:- " সারদামঙ্গল " কাব্য যেসব পাশ্চাত্য কবির প্রভাব পড়েছে , তারা হলেন শেক্সপিয়র , বায়রন ও শেলী ।
২৫। বিহারীলালের সারদা ধ্যানে কয়টি " মানসিক স্তর " আছে ?
উত্তর:- মোহিতলাল মজুমদার কথিত তিনটি স্তর - জাগরণ , স্বপ্ন ও সির্যুপ্তি ।
২৬। " সারদামঙ্গল " কাব্যর মূল ভাব কি ?
উত্তর:- সারদামঙ্গল কাব্যের মূল ভাব হল " বিরহ " ।
২৭। সারদামঙ্গল কত সালে রচিত ? কটি সর্গে বিভক্ত ? স্তবক সংখ্যা কত ?
উত্তর:- সারদামঙ্গল ১৮৭৯ সালে রচিত । পাঁচটি সর্গে বিভক্ত । স্তবক সংখ্যা ১৫৩ টি ।
২৮। কবে বিহারীলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু হয় ?
উত্তর:- ১৩০১ বঙ্গাব্দের ১১ই জৈষ্ঠ্য বিহারীলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু হয় ।
২৯। তুমি মনের তৃপ্তি
তুমি মনের দৃপ্তি
তোমা হারা হইলে আমি প্রানহারা হই ;
এ খানে সারদার কোন রূপের " বন্দনা গান " কবি গেয়েছেন ?
উত্তর:- বিহারীলালের সারদামঙ্গল কাব্যের প্রথম সর্গে সারদার প্রেয়সী রূপের বন্দনা প্রসঙ্গে কবি এই গান গেয়েছেন ।
কোন মন্তব্য নেই