এক মুঠো চাল যেখানে দুর্লভ সেখান থেকে সেটি নিতে হবে বৈকি কে কাকে বলেছে কোথায় এক মুঠো চালও দুর্লভ কথাটির তাৎপর্য কী প্রশ্নোত্তর
উত্তর:- " এক মুঠো চাল যেখানে দুর্লভ সেখানে ...." কথাটা সন্ন্যাসী ঠাকুর বলেছেন ঠাকুরদাদা কে । কঞ্জুস , সন্দেহ প্রবণ , হৃদয়হীন লক্ষেশ্বরের কাছে এক মুঠো চালও দুর্লভ । সে কখনো কোনো দরিদ্রকে , অসহায়কে বা ক্ষুধার্ত কে এক মুঠো চাল ভিক্ষা দিয়েও সাহায্য করেনি । আমরা বলে থাকি , কঞ্জুস ছাই দিলেও নিতে হয় তাতে তার দেওয়ার অভ্যাসটা তো গড়ে ওঠে । এই জন্যই সন্ন্যাসী লক্ষেশ্বরের গৃহে যেতে চান । তার হাতে দান গ্রহণ করে আজ তাঁর দেবার প্রবৃত্তি টাকেই জাগিয়ে তুলে তাকে মানুষ করে তুলতে চাওয়া । আমরা জেনেছি সন্ন্যাসী ঠাকুরই মহারাজ বিজয়াদিত্য । তিনি মহান ভালো প্রশাসক । সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে তিনি প্রজাদের খোঁজ খবর নিতে এসেছেন । কারা তাঁকে পছন্দ করে না কারা তাঁকে ভালোবাসে কাদের দ্বারা সমাজের কল্যাণ হয় । কাদের দ্বারা অকল্যাণ হয় সব তথ্য তিনি নিজে সংগ্রহ করেন । বুঝতে পারেন লক্ষেশ্বরের মতো অসামাজিক , হৃদয়হীন , কৃপণ এবং সন্দেহ বাতিকগ্রস্থ মানুষ আর নেই । এটা তাঁর এক অসুখ । সন্ন্যাসী ঠাকুর এই অসুখ নিরাময় করতে চান । লক্ষেশ্বরের সঙ্গে মিশে তাকে বোঝাতে চান ধন সঞ্চয় করে পাহাড় করলেও তাতে তৃপ্তি হয় না । মানুষের কল্যাণে ব্যয় করলে ধনেরও সার্থকতা মনেরও তৃপ্তি । সেই তৃপ্তির বীজ অঙ্কুরিত করতেই সন্ন্যাসী তথা সম্রাট বিজয়াদিত্য লক্ষেশ্বরের গৃহে গিয়ে এক মুঠো চালই নিতে চান ।
কোন মন্তব্য নেই