প্রশ্ন: শশীভূষনের সঙ্গে গিরিবালার পরিচয় কীভাবে হয় সম্পর্ক কীভাবে গড়ে ওঠে আলোচনা করো ।
উত্তর: " মেঘ ও রৌদ্র " গল্পের নায়ক শশীভূষণ এম . এ . বি . এল . ডিগ্রী ধারী , উচ্চশিক্ষিত । কিন্তু স্বল্প ভাষী , ক্ষীণদৃষ্টিশক্তি ও অন্তমুখী বলে ওকালতি ব্যাবসায় উৎসাহ ও আগ্রহ দেখায়নি । তাই তাঁর পিতা তাকে গ্রামের বিষয় সম্পত্তি দেখার ভার দিয়ে গ্রামে পাঠান । গ্রামে এসেও নানা কারণে মানুষের বন্ধুত্ব না পেয়ে ঘরে বসে শুধু পড়াশোনা নিয়েই থাকে । তার ঘরের পাশেই গিরিবালা দের বাড়ী । আট বছর বয়স থেকে গিরিবালা এই মানুষটাকে দেখেছে । কারো সঙ্গে তেমন কথা বলে না ঝগড়া করে না । অথচ তাকে দেখলে গিরিবালার ভয়ও করে না । কেবল বই পড়ে যে কি হয় গিরিবালা বোঝে না । শিশু মনের কৌতূহল বশত সে মানুষটার মনোযোগ আকৃষ্ট করবার চেষ্টা করে । কখনো ঘরের বাইরে থেকে জামের আটি ছুঁড়ে মারে , কখনো জাম খেয়ে দেয় , কথা বলে । নিঃসঙ্গ শশীভূষণ বালিকার সঙ্গে ভাব করে নিয়ে কিছুটা আনন্দে সময় কাটাতে পারে । এই ভাবে দৌরাত্ম , মান অভিমান , শেষদিকে পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে গিরিবালা কে অক্ষর চেনানো , বানান শেখানো , ব্যাকরণ শেখানো , কাব্য শোনানো এসবের মধ্যে দিয়ে অসমবয়সী এই দুটি মানুষের অদ্ভুত একটা সম্পর্ক একটা টান তৈরী হয়ে যায় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন