আমার বুকের হার যে তাহারই মধ্যে ছিল আমার ২৬ বৎসরের যৌবন যে তাহার চারিদিকে বিকশিত হইয়াছিল একবার দেখিতে ইচ্ছে করে না ব্যাখ্যা করো প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: "আমার বুকের হার যে তাহারই মধ্যে ছিল । আমার ২৬ বৎসরের যৌবন যে তাহার চারিদিকে বিকশিত হইয়াছিল একবার দেখিতে ইচ্ছে করে না ?" ব্যাখ্যা করো ।
উত্তর:- আলোচ্য অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " কঙ্কাল " গল্প থেকে গ্রহণ করা হয়েছে । এ খানে লেখক কল্পনায় মানুষের চিরন্তন আখাঙ্খাটি অনুমান করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন এক অশরীরী জীবনকথা ।
[ ] " কঙ্কাল " গল্পে জীবিত অবস্থার এক সুন্দর নারীর ইতিকথা যেন রচনা করা হয়েছে । অতি প্রাকৃতের আবহাওয়া এক চমৎকার রহস্যের সৃষ্টি করেছেন রবীন্দ্রনাথ । এ খানে রবীন্দ্রনাথ এক নারী জীবনের ব্যার্থতার কথাও বলতে চেয়েছেন । নারীর রূপ লাবণ্য ভালোবাসা সমস্তই ব্যার্থ হয়ে যায় টাকার সঙ্গে তুলনায় । এই ধরনের এক ট্র্যাজেডির সুরে " কঙ্কাল " গল্পটি লিখিত ।
[ ] আজকের কঙ্কালের মধ্যে মানুষেরই তো বুকের হাড় অবস্থিত সেখানেই তো তার সুখ , দুঃখ , আশা , আকাঙ্ক্ষা , ভালোবাসা সবই সঞ্চিত ছিল । অশরীরী রূপে সে সব তো এ খন আর আস্বাদন করা যায় না । ওই কঙ্কাল কে কেন্দ্র করেই তার যৌবন তার ভূবন মোহিনী রূপ দেখে সে নিজেই মোহিত হয়েছিল মৃত্যুর পরেও সেই স্বরূপ দেখার আকাঙ্ক্ষা তো স্বাভাবিক । অশরীরীর এই আকাঙ্ক্ষার কথাই উদ্ধিতিটিতে বলা হয়েছে ।
কোন মন্তব্য নেই