শারদোৎসব অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১। শারদোৎসব কোন সালে প্রকাশিত ? এটি কী ধরনের নাটক ?
উত্তর:- শারদোৎসব ১৩১৫ বঙ্গাব্দ বা ১৯০৮ খ্রি: প্রকাশিত হয় । এটি ঋতুনাটিকা ।
২। শারদোৎসব নাটক নয় নাটিকা কেন ?
উত্তর:- পুনাঙ্গ নাটকে পাঁচ টা অঙ্ক থাকে । কিন্তু শারদোৎসবে মাত্র দুটি দৃশ্য । একটি দৃশ্য বললেও খুব একটা মিথ্যা বলা হয় না ।
৩। নাটকে কটি অঙ্ক কটি দৃশ্য ? দৃশ্য গুলির স্থান উল্লেখ করো ?
উত্তর:- নাটকে দুটি মাত্র দৃশ্য । প্রথম দৃশ্যের স্থান পথ , দ্বিতীয় দৃশ্যের স্থান বেতসিনির তীরের বন ।
৪। শারদোৎসব নাটক লিখবার উদ্দেশ কী ছিল ?
উত্তর:- শারদোৎসব লেখার উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রকৃতির বৈচিত্র্যর সঙ্গে মিলন ঘটানো । প্রকৃতির ঋণশোধ করা ।
৫। শারদোৎসব সক্রিয় চরিত্র কটি ? তাদের নাম লেখো ?
উত্তর:- নাটকে সক্রিয় চরিত্র মাত্র আটটি । সন্ন্যাসী , ঠাকুরদাদা , লক্ষেশ্বর , বালক গণ , উপনন্দ , রাজা , অমার্ত্য , রাজদূত প্রমুখ ।
৬। শারদোৎসব নাটকের সূচনা কি দিয়ে ? সমাপ্তিই বা কী দিয়ে ?
উত্তর:- নাটকের সূচনা বালকদের গান দিয়ে । সমাপ্তিও বালকদের গান দিয়ে ।
৭। নাটকের প্রথম গানের প্রথম পংক্তিটির উদ্বিধি দাও
উত্তর:- " মেঘের কোলে রোদ হেসেছে
বাদল গেছে টুটি "
৮। শারদোৎসব নাটকের প্রথম সংলাপটি কার ? কাকে উদ্দেশ করে ?
উত্তর:- শারদোৎসবের প্রথম সংলাপ টি লক্ষেশ্বরের । সে গান গাওয়া ছেলে গুলোকে ভয় দেখাবার জন্য চোবে ও গীরিধারি নামের কল্পিত ব্যক্তি কে বলেছে ওদের ধরে আনতে ।
৯। বালকরা লক্ষেশ্বর কে কি বলে খেপিয়েছে ?
উত্তর:- বালকরা লক্ষেশ্বরকে লক্ষ্মী পেঁচা বলে খেপিয়েছে । " কাক লেগেছে লক্ষ্মী পেঁচা লেজে ঠোকর খেয়ে চেঁচা ।"
১০। লক্ষেশ্বরের দুটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ?
উত্তর:- লক্ষেশ্বর প্রচন্ড সন্দেহ বাতিক সবাই যেন তার ধন হাতিয়ে নেবার জন্য তৎপর তা ছাড়া সে প্রচন্ড ঈশাপরায়ন । আর কারো ধন বাড়ুক তা সে চায়নি ।
১১। লক্ষেশ্বরের কামনা কী ? সে ছেলেদের গান গাওয়ার প্রতি বিরক্ত হয় কেন ?
উত্তর:- লক্ষেশ্বরের কামনা প্রচুর ধন এবং তার সুরক্ষা । ছেলেরা গান গাইলে তাঁর হিসাব ভুলে যায় । সেই জন্য সে তাদের গান গাওয়ার প্রতি বিরক্ত হয় ।
১২। ছেলেদের সাড়া পেলে ঠাকুরদাদার কীসে গরমিল হয়ে যায় ?
উত্তর:- ছেলেদের সাড়া পেলে ঠাকুরদাদার বয়সে হিসেব প্রায় পঞ্চাশ - পঞ্চান্ন বছরের গরমিল হয়ে যায় ।
১৩। শারদোৎসব নাটকে কটি গান আছে ? সব থেকে বেশি গান কার মুখে বসানো হয়েছে ?
উত্তর:- নাটকে মোট গান আছে ন'টি । সব থেকে বেশি গান বসানো হয়েছে বালকদের মুখে ।
১৪। নাটকে কোন গানটি দুবার গাওয়া হয়েছে ? কার মুখে ?
উত্তর:- " আমার নয়ন ভুলানো এলে ..." গানটি দুবার গাওয়া হয়েছে । একবার ঠাকুরদাদার মুখে পরের বার সকলের মুখে ।
১৫। " তোমার কাছে দাসত্ব করে আমি সেই মহাত্মার ঋণ শোধ করব ।" কে কাকে বলেছে ? মহাত্মা কে ?
উত্তর:- " তোমার কাছে দাসত্ব করে আমি ..." একথা উপনন্দ বলেছে লক্ষেশ্বরকে । মহাত্মা হলেন উপনন্দের গুরু বিনাচার্য সুরসেন ।
১৬। লক্ষেশ্বর উপনন্দকে নির্বোধ ভেবেছে কেন ?
উত্তর:- উপনন্দ তার গুরুর ঋণশোধ করবার জন্য নিজে এসে লক্ষেশ্বরের কাছে ধরা দিয়েছে তাই ।
১৭। উপনন্দ কোন কাজে দক্ষ ছিল ?
উত্তর:- উপনন্দ চিত্র বিচিত্র করে পুঁথি নকল করতে পারত ।
১৮। শরৎ কালের দিন গুলিকে লক্ষেশ্বর " ভারী বিশ্রী দিন " বলেছে কেন ?
উত্তর:- লক্ষেশ্বর কৃপণ । টাকার হিসেব ছাড়া আর কোনো কাজ তার ভালো লাগে না । শরৎ কালের রোদ্দুর দেখলে সে কাজে মন দিতে পারে না । হিসাব ভুল হয়ে যায় । সেই জন্যই শরতের দিনগুলি তার কাছে বিশ্রী দিন ।
১৯। " এ বেশ খেলা এ চমৎকার খেলা " কে কোন খেলা কে চমৎকার খেলা বলেছে ?
উত্তর:- বালকদল শিশু সন্ন্যাসী সাজবে আর সন্ন্যাসী তাদের বুড়ো চেলা সাজবেন এই খেলাটাই চমৎকার খেলা ।
২০। বালকদের মধ্যে কে আনন্দের খেলায় মাতেনি ? কেন ?
উত্তর :- বালকদের মধ্যে উপনন্দ আনন্দের খেলায় মাতেনী । কারণ সে তার গুরু বিনাচার্যের ঋণ শোধ করবার ভার নিয়ে কাজে ব্যাস্ত থেকেছে ।
২১। " তিনি যে আমাদের চক্রবর্তী সম্রাট ।" বক্তা কে ? চক্রবর্তী সম্রাট কাকে বলা হয়েছে ?
উত্তর:- " তিনি যে আমাদের চক্রবর্তী সম্রাট ।" বক্তা হলেন ঠাকুরদাদা । রাজচক্রবর্তী সম্রাট বলা হয়েছে বিজয়াদিত্যকে ।
২২। বেতসিনির তীরে কে কোন বস্তু পুঁতে রেখেছিল ?
উত্তর:- বেতসিনির তীরে লক্ষেশ্বর গজমোতি পুঁতে রেখেছিল ।
২৩। রাজা সোমপাল কে সৈন্যসহ আসতে দেখে লক্ষেশ্বর ভয় পেয়েছিল কেন ?
উত্তর:- রাজা সোমপালকে ঘোড়াসওয়ারদের সঙ্গে আসতে দেখে লক্ষেশ্বর ভেবেছিল গজমোতির খবর রাজা জেনে ফেলেছেন তাই তুলে নিতে আসছেন । সে জন্যই লক্ষেশ্বর ভয় পেয়েছিল ।
২৪। " কোনদিন আমার ভিটে বাড়ীর ভিত কেটে জলদানের হুকুম হবে সেই ভয়ে রাত্রে ঘুমুতে পারি নে ।" বক্তা কে ? এমন কথা বলেছে কেন ?
উত্তর:- " কোনদিন আমার ভিটে বাড়ীর..." কথাটার বক্তা লক্ষেশ্বর । রাজা মানুষের জলের সমস্যা মেটাবার জন্য বিভিন্ন স্থানে কূপ খনন করেছেন লক্ষেশ্বরের বিশ্বাস তার পুঁতে রাখা টাকার সন্ধান করতেই রাজা কূপ খোড়েন । সেই সন্ধানেই হয়তো একদিন তাঁর বাড়িটাও খুঁড়ে কূপ বানাবেন ।
২৫। " এত কাজ করো না বাবা আমরা ভাগে ব্যাবসা করি ।" কে কার সঙ্গে ভাগে ব্যাবসা করতে চেয়েছে ? কেন ?
উত্তর:- লক্ষেশ্বর সন্ন্যাসীর সঙ্গে ভাগে ব্যাবসা করতে চেয়েছে । সন্ন্যাসী লক্ষ্মীর পা রাখা সোনার পদ্ম টি খুঁজছেন । শুনে লক্ষেশ্বরের লোভ হয় । সন্ন্যাসী একদিন পেয়ে যেতেই পারে পদ্ম টি । তার ভাগ নেবার জন্যই লক্ষেশ্বর ভাগে ব্যাবসা করতে চায় ।
২৬। লক্ষেশ্বর সন্ন্যাসীর কাছে কি প্রাথনা করে ?
উত্তর:- লক্ষেশ্বর সন্ন্যাসীর কাছে এমন সম্পদ প্রাথনা করে যা পেলে তার মন শান্তি পায় ।
২৭। রাজা সোমপাল সন্ন্যাসীর কাছে কোন কোন বর প্রাথনা করেছে ?
উত্তর:- রাজা সোমপাল সন্ন্যাসীর কাছে রাজ চক্রবর্ত্তী রাজা হবার সম্রাটবিজয়াদিত্য কে পরাভূত করবার বর প্রাথনা করেছেন ।
২৮। রাজা বিজয়াদিত্যর প্রাণ টা কাঁদে কী জন্য ?
উত্তর:- রাজ্যের গরীব চাষাদের সঙ্গে পাতপেড়ে খাবার জন্য ।
২৯। উপনন্দ কত মূল্যে নিজেকে বিক্রয় করতে পারলে তাঁর গুরুর ঋণ শোধ হবে ?
উত্তর:- উপনন্দ হাজার কার্ষাপনে নিজেকে বিক্রয় করতে পারলেই গুরুর ঋণ শোধ হবে ।
৩০। " ঠাকুর তোমার চেলা হওয়া আমার কর্ম নয় ।" কে কাকে " ঠাকুর " বলেছে ?
উত্তর:- " তোমার চেলা হওয়া আমার কর্ম নয় " কথাটা লক্ষেশ্বর সন্ন্যাসী কে বলেছে ।
৩১। " তোমাকে দেখাতে পেরে মনটা তবু একটু হালকা হল ।" কে কাকে কী দেখাতে পেরে হালকা হল ?
উত্তর:- লক্ষেশ্বর সন্ন্যাসী ঠাকুরকে তার লুকিয়ে রাখা গোজমতি দেখাতে পেরে হালকা বোধ করেছে ।
৩২। " জগৎ এমন আশর্য সুন্দর কেন ।" সন্ন্যাসী এ প্রশ্নের কী উত্তর খুঁজে পেয়েছেন ?
উত্তর:- জগৎ আনন্দের ঋণ শোধ করছে নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে সমস্ত ত্যাগ করে সেই জন্যই এত সুন্দর ।
শারদোৎসব নাটকের মূল বিষয়বস্তুর বিস্তারিত আলোচনা
উত্তরমুছুন