Breaking News

শেষকালে দুকূল যাবে না তো যদি একেবারে ফাঁকিতে না পড়ি তাহলে তোমার তলপি বয়ে তোমার পিছন পিছন চলতে রাজী আছি বক্তা কে কাকে বলেছে এমন বলার মধ্যে দিয়ে তাঁর চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে

 

শেষকালে দুকূল যাবে না তো যদি একেবারে ফাঁকিতে না পড়ি তাহলে তোমার তলপি বয়ে তোমার পিছন পিছন চলতে রাজী আছি বক্তা কে কাকে বলেছে এমন বলার মধ্যে দিয়ে তাঁর চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে প্রশ্নোত্তর sesh Kale dukol jabe na to jodi akebare fakite na pori tahole tomar tolpi boye tomar pichon pichon


উত্তর :- " শেষকালে দুকূল যাবে নাতো ?..." একথা লক্ষেশ্বর বলেছে সন্ন্যাসী কে । কথাটার মধ্যে দিয়ে লক্ষেশ্বরের ব্যাবসা বুদ্ধি সম্পর্ন্ন , মুনাফা প্রত্যাশী , লোকশান ভীরু মনের পরিচয় ফুটে উঠেছে । সন্ন্যাসী লক্ষেশ্বর কে যখন জানিয়েছেন লক্ষ্মী যে সোনার পদ্মটির উপর পা রেখে বসেন সেই পদ্মটিকেই তিনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন এবং সন্ধানও পেয়েছেন তখন লোভী লক্ষেশ্বর শুধুমাত্র সেই স্বর্ণ পদ্মের ভাগ পাবার জন্য সন্ন্যাসীর চেলা হয়ে তাঁর তলপি বহন করে পিছন পিছন চলতে রাজী হয় । সে বোঝেনা এটা একাট রুপক কথা । লক্ষ্মীর পা রাখবার সোনার পদ্ম বলতে ঠিক কি বোঝায় । সেটুকু বুঝাবার মতো সূক্ষ্ম বুদ্ধি , বিবেচনা শক্তি লক্ষেশ্বরের নেই । তাঁর কেবল ব্যাবসা বুদ্ধি , মুনাফার প্রত্যাশায় প্রবল । লোকসানের ভয়ও তাঁর মন থেকে যায় না । সোনার পদ্ম খোঁজার পিছনে অর্থ ও শ্রম ব্যয়  করে যদি সেটা না পাওয়া যায় । লোকসান কোনো ব্যাবসাদাররেই পছন্দ নয় । লক্ষেশ্বরের তো একেবারেই নয় । তাই লোকসানের সম্ভাবনা আছে কিনা তা ভালো করে জেনে নিতেই উদ্ধত প্রশ্ন গুলি সন্ন্যাসীকে করে । সন্ন্যাসীর কথার তাৎপর্য বোঝার মতো বিদ্যা বুদ্ধি এবং মানসিকতা এই স্থূল বুদ্ধি , অর্থ লোভী , মুনাফাখোর মানুষটির নেই ।

 

কোন মন্তব্য নেই