আদাব অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১। আদাব গল্পের প্রধান চরিত্র কটি ? তাদের নাম কি ?
উত্তর:- আদাব গল্পের প্রধান চরিত্র দুটি । তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি । একজনকে " সুতামজুর " অন্যজনকে " মাঝি " বলে চালানো হয়েছে ।
২। " আদাব " গল্পের হিন্দু চরিত্রটি কি নামে পরিচিত মুসলমান চরিত্রটিই বা কি নামে পরিচিত ?
উত্তর:- " আদাব " গল্পের হিন্দু চরিত্র হলো সুতা মজুর , মুসলিম চরিত্রটি হলো মাঝি ।
৩। মাঝির সঙ্গের পুটলিতে কি ছিল ?
উত্তর:- মাঝির সঙ্গের পুটলিতে ছিল ঈদ উপলক্ষে কেনা " পোলা মাইয়ার লাইগা দুইডা জামা আর একখানা শাড়ি ।"
৪। কে মাঝির নায়ে চেপে কিভাবে মাঝির জীবিকার সংস্থান করত ?
উত্তর:- হিন্দু নায়েক বাবু মাঝির নায়ে চেপে নয়রার চরে কাছারি করতে যেতেন । তিনিই ভাড়া বাবদ পাঁচ টাকা বকশিস পাঁচ টাকা হিসেবে প্রতি মাসে দশ টাকা দিয়ে মাঝির জীবিকা সংস্থানে সহায়তা করতেন ।
৫। " আদাব " গল্পে কার মৃত্যু ঘটে ? কিভাবে ?
উত্তর:- " আদাব " গল্পে মাঝির মৃত্যু ঘটে পুলিশের গুলিতে ।
৬। সুতা মজুর মাঝির জন্য কার কাছে কি প্রার্থনা করেছিল ?
উত্তর:- সুতা মজুর প্রার্থনা করেছিল " ভগবান মাজি যান বিপদে না পড়ে ।"
৭। পাহারাওয়ালা পুলিশেরা মাঝিকে কি ভেবেছিল ? কি বলে তারা চিৎকার করেছিল ?
উত্তর:- পাহারাওয়ালা পুলিশেরা মাঝিকে ডাকাত ভেবেছিল । তাই " ডাকু ভাগতা হ্যায় " বলে চিৎকার করছিল ।
৯। " আদাব " গল্পে কোন শহরে ১৪৪ ধারা জারির কথা বলা হয়েছে ? কেন ?
উত্তর:- আদাব গল্পে কলকাতা শহরে ১৪৪ ধারা জারির কথা বলা হয়েছে । হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা দমন করবার জন্যই ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ।
১০। নায়েব মাঝি কোন হিন্দু বড়ো লোকের প্রশংসা করেছে ? কেন ?
উত্তর:- নায়ের মাঝি নায়ের বাবুর প্রশংসা করেছে । নায়েব বাবু তার নায়ে নইরার চরে প্রতি মাসে কাছারি করতে যেতেন আর মাঝিকে দশটি করে টাকা দিতেন । তাঁর হাত যেন হজরতের হাত । মাসের খোরাকি জুটে যেত তাঁর দয়াতেই । এ জন্যই মাঝি তাঁর প্রশংসা করেছে ।
১১। দাঙ্গার ফলে মাঝির মনে কোন কোন দুর্ভাবনা দেখা দিয়েছে ?
উত্তর:- দাঙ্গার কারণে মাঝির মনে দুরভাবনা জেগেছে হয়তো এতক্ষণে তার নাওটিকে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে । যদি বা থাকে নায়েববাবুর মত হিন্দু আর তার নায়ে পা রাখবেন না মাসে দশ টা করে টাকা পাবার সম্ভবনা ঘুচে গেল । এ জন্যই তাঁর দুশ্চিন্তা ছিল ।
১২। " মানুষ না আমরা যেন কুত্তার বাচ্চা হইয়া গেছি ।" বক্তা কে ? কেন একথা সে বলেছে ?
উত্তর:- " মানুষ না আমরা যেন " কথাটা বলেছে " আদাব " গল্পের সুতা মজুর । স্বার্থের কারণে মানুষসত্য বিসর্জন দিয়ে হিন্দু-মুসলমানরা দাঙ্গা বাঁধিয়ে যেভাবে কামড়াকামড়ি করছে তাতে বিরক্ত হয়েই সুতা মজুর এমন কথা বলেছে ।
144 dhara ki
উত্তরমুছুন