সাঁঝ সকালের মা অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১। " সাঁঝ সকালের মা " গল্পের প্রধান চরিত্র গুলির নাম কি ?
উত্তর:- " সাঁঝ সকালের মা " গল্পের প্রধান চরিত্র সাধন কান্দরি এবং জটি ঠাকুরানী ।
২। সাধন কান্দরী কোন সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল ?
উত্তর:- সাধন কান্দরী ছিল বেদিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত ।
৩। জটি কিভাবে সাঁঝ সকালের মা হয়ে উঠেছিলেন ?
উত্তর:- সাধনের দেড় বছর বয়স থেকে জটেশ্বরীর দেবতার ভর হতে থাকে । তাই জটিল জটি ঠাকুরানী হয়ে ওঠে সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সে সাধনের মা থাকে । এই জন্যই তাকে সাঁঝ সকালের মা বলে পরিচয় দেওয়া হতো ।
৪। জটি ঠাকুরানী কোন মাসে মারা যায় ? কোথায় ?
উত্তর:- জটি ঠাকুরানী বৈশাখ মাসে মারা যায় । হাসপাতালের ডাক্তার "জবাব" দেওয়ায় বাড়িতে ফিরে ।
৫। জটির হাসপাতালে যেতে ভয় ছিল কেন ?
উত্তর:- জটির ধারণা ছিলো হাসপাতালে ডোমেরা নাড়ি ছেঁড়া করে । ডোমারে নাড়ি নেই , ডাক্তার রক্ত নিয়ে বোতল ভর্তি করে রাখে । দেহ পচিয়ে হাঁড় বিক্রি করে । এই জন্যই জটি হাসপাতালে যেতে ভয় পায় ।
৬। মোটর গাড়িতে জটিকে হাসপাতালে নেওয়া যায় নি কেন ?
উত্তর:- মোটর গাড়ির ড্রাইভার মুমূর্ষ জটিকে দেখে বলেছিল । " মুর্দা হ্যায় গাড়ি মে মর যায় গে ।" সে জটিকে গাড়িতে নিতে চায়নি ।
৭। জটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সাধনের সঙ্গে কে কে গিয়েছিলে ?
উত্তর:- জটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সাধনের সঙ্গে গিয়েছিল বলরাম , জগদীশ , উদ্ভব ।
৮। জটিল রোগ টা কি ছিল ? কদিন পর রোগ ধরা পড়ে ?
উত্তর:- জটিল রোগটা ছিল অনাহার । তিনদিন পর ডাক্তাররা রোগ ধরতে পারেন ।
৯। জটেশ্বরীর শবযাত্রায় কীর্তন গেয়েছিল কে ? তার পেশা কি ?
উত্তর:- জটেশ্বরীর শবযাত্রায় কীর্তন গিয়েছিল বলরামের বনাই সদানন্দ । তাঁর পেশা ছিল সরকারি অফিসে পিওনগিরি ।
১০। সাধনের বাবার নাম কি ? তার জাত ব্যাবসা কি ছিল ?
উত্তর:- সাধনের বাবার নাম উৎসব কান্দরি । তাঁর জাত ব্যাবসা ছিল চিকন পাটি বোনা । কিন্তু সে খঙ্গ পুরে গিয়ে কুলিগীরি শুরু করেছিল ।
১১। স্বামীর মৃত্যুর পর জটেশ্বরী কোথায় আশ্রয় নেই ? কেন ?
উত্তর:- স্বামীর মৃত্যুর পর জটেশ্বরীর এক সন্ন্যাসীর কাছে আশ্রয় নেই । প্রথমে সে নিজের জাতের মানুষদের খুঁজেছিল না পেয়ে দুষ্ট মানুষদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতেই হনুমানজির ভক্ত সন্ন্যাসীর কাছে আশ্রয় নেই ।
১২। সন্ন্যাসী জটিকে রক্ষা করবার জন্য কি ব্যবস্থা করেছিল ?
উত্তর:- জটিকে আত্মরক্ষা অস্ত্র হিসেবে লাল চেলি আর একটা ত্রিশূল দিয়ে বলেছিল । " একদিন তাকে শেয়ালে শুকনে ছিঁড়ে খাবে তা মনে জানতে পারছি । তবুও তুই এই বস্তরে অস্তরে চলে যা মা ।" পরিচয় দিতে বলেছিল "জটি ঠাকুরানী" বলে ।
১৩। সাধন মায়ের শ্রাদ্ধের জন্য বেরিয়ে কত টাকা পায় ?
উত্তর:- সাধন মায়ের শ্রাদ্ধের জন্য ভিক্ষায় বেরিয়ে সাকুল্যে পায় ২১ টি টাকা আর এক পালি চাল ।
১৪। জটির শ্রাদ্ধ কোথায় হয় ? কত টাকা খরচ করে ?
উত্তর:- জটি শ্রাদ্ধ হয় কালীঘাটের এক পুরোহিতের বাড়ি । আঠারো টাকার বিনিময়ে ।
১৫। কে কালিঘাটে গিয়ে জটির শ্রাদ্ধের ব্যবস্থা করিয়ে দিয়েছিল ?
উত্তর:- সাধনের বন্ধু বলরাম কালিঘাটে গিয়ে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ কে ধরে মাত্র ১৮ টাকায় জটির শ্রাদ্ধের ব্যবস্থা করিয়েছিল ।
১৬। কি দেখে জটির উপার্জনের উপযুক্ত শহুরে বুদ্ধি জেগেছিল ?
উত্তর:- স্টেশনের কাছে নেপালী ও ভোট বুড়িদের মালা , তাবিজ , শেকড় , পাখির পা , ব্যাঙের ছাল বেচতে দেখে জটিরও শহুরে বুদ্ধি জেগেছিল । সেও ঠাকুমার টোটকা টুটকি মনে আনার চেষ্টা করে ওষুধ দেওয়া শুরু করেছিল ।
১৭। " সাঁঝ সকালের মা " গল্পের ক টি পরিচ্ছেদ ?
উত্তর:- " সাঁঝ সকালের মা " গল্পের তিনটি পরিচ্ছেদ ।
কোন মন্তব্য নেই