সোনামনির দাদা শুনিয়া সর্বশরীর জ্বলিয়া যায় সোনামণি কে কার সর্বশরীর জ্বলে যায় কারণ কী আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: " সোনামনির দাদা ! শুনিয়া সর্বশরীর জ্বলিয়া যায় ।" সোনামণি কে ? কার সর্বশরীর জ্বলে যায় ? কারণ কী ? আলোচনা করো ।
উত্তর:- " সোনামনির দাদা ....", সোনামণি হল কাঁঠালিয়া গ্রামের জমিদার মটিলালবাবুর এক প্রতিবেশীনির বিধবা কন্যা যে জমিদার কন্যা চারুলতার সমবয়সী এবং সখী ।
[ ] চারুলতারই সর্বশরীর জ্বলে যায় সোনামনির আদিখ্যেতা দেখে ।
[ ] তারাপদ কে আবিষ্কার করে কাঁঠালিয়া গ্রামে নিয়ে এসেছে চারুর বাবা মা । তাই তারাপদ চারুদের সম্পত্তি । তারাপদ কে চিনবে জানবে ব্যাবহার করবে এমনকি ভালোবাসবে তিরষ্কার করবে চারুরাই । তারাপদ যদি গর্বের বিষয় হয় তবে তা চারুদেরই । তাই চারুর সই সোনামণি কদিন পরে চারুর সঙ্গে দেখা করতে এলে চারু তাকে তারাপদর সম্পর্কে বলতে থাকে । তখন সোনামণি জানায় তারাপদদাদার সম্পর্কে সে জানে । এতেই ঈর্ষায় চারুলতার সর্বশরীর জ্বলে যায় ।
[ ] তারাপদ কাঁঠালিয়া পৌঁছাবার পরই পুরো গ্রামটা ঘুরে নিয়েছে । যাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে , তাদের দাদা , দিদি , মাসি প্রভৃতি সম্বোধন করে আপন করে নিয়েছে । এ কদিনে সোনামণিদের বাড়িতেও সে কয়েকবার গিয়েছে । পরিচয় যথেষ্টই হয়ে গেছে । সোনামণি। তাকে দাদা বলে সম্বোধনও করে থাকে । এসব জেনে চারুলতার যথেষ্ট রাগ হয় । নতুন জিনিসটা দেখাবার আগেই যদি অন্য কেউ ব্যবহার করতে শুরু করে , তাহলে জিনিসটার মালিকের তো রাগ হতেই পারে । চারুলতা চেয়েছিল , তারাপদর সম্পর্কে সোনামণি কে একটু একটু করে জানাবে আর কৌতুক উপভোগ করবে । কিন্তু তাও প্রথমেই বিপত্তি ঘটায় চারুলতা অসন্তুষ্ট হয় । তাঁর সর্বশরীর জ্বলে যায় ।
কোন মন্তব্য নেই