মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সোনামনির দাদা শুনিয়া সর্বশরীর জ্বলিয়া যায় সোনামণি কে কার সর্বশরীর জ্বলে যায় কারণ কী আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর

 

বাংলা অনার্স সাম্মানিক সোনামনির দাদা শুনিয়া সর্বশরীর জ্বলিয়া যায় সোনামণি কে কার সর্বশরীর জ্বলে যায় কারণ কী আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর sonamonir dada shuniya sorboshorir joliya jai sonamoni ke kar sorboshorir jole jai karon ki alochona koro


                       

প্রশ্ন: " সোনামনির দাদা ! শুনিয়া সর্বশরীর জ্বলিয়া যায় ।" সোনামণি কে ? কার সর্বশরীর জ্বলে যায় ? কারণ কী ? আলোচনা করো ।

উত্তর:- " সোনামনির দাদা ....", সোনামণি হল কাঁঠালিয়া গ্রামের জমিদার মটিলালবাবুর এক প্রতিবেশীনির বিধবা কন্যা যে জমিদার কন্যা চারুলতার সমবয়সী এবং সখী ।


[      ] চারুলতারই সর্বশরীর জ্বলে যায় সোনামনির আদিখ্যেতা দেখে ।



[      ] তারাপদ কে আবিষ্কার করে কাঁঠালিয়া গ্রামে নিয়ে এসেছে চারুর বাবা মা । তাই তারাপদ চারুদের সম্পত্তি । তারাপদ কে চিনবে জানবে ব্যাবহার করবে এমনকি ভালোবাসবে তিরষ্কার করবে চারুরাই । তারাপদ যদি গর্বের বিষয় হয় তবে তা চারুদেরই । তাই চারুর সই সোনামণি কদিন পরে চারুর সঙ্গে দেখা করতে এলে চারু তাকে তারাপদর সম্পর্কে বলতে থাকে । তখন সোনামণি জানায় তারাপদদাদার সম্পর্কে সে জানে । এতেই ঈর্ষায় চারুলতার সর্বশরীর জ্বলে যায় । 

[       ] তারাপদ কাঁঠালিয়া পৌঁছাবার পরই পুরো গ্রামটা ঘুরে নিয়েছে । যাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে , তাদের দাদা , দিদি , মাসি প্রভৃতি সম্বোধন করে আপন করে নিয়েছে । এ কদিনে সোনামণিদের বাড়িতেও সে কয়েকবার গিয়েছে । পরিচয় যথেষ্টই হয়ে গেছে । সোনামণি। তাকে দাদা বলে সম্বোধনও করে থাকে । এসব জেনে চারুলতার যথেষ্ট রাগ হয় । নতুন জিনিসটা দেখাবার আগেই যদি অন্য কেউ ব্যবহার করতে শুরু করে , তাহলে জিনিসটার মালিকের তো রাগ হতেই পারে । চারুলতা চেয়েছিল , তারাপদর সম্পর্কে সোনামণি কে একটু একটু করে জানাবে আর কৌতুক উপভোগ করবে । কিন্তু তাও প্রথমেই বিপত্তি ঘটায় চারুলতা অসন্তুষ্ট হয় । তাঁর সর্বশরীর জ্বলে যায় ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন