বাবা উপনন্দ তোমার কল্যাণে তাঁর আর এক বীনা শুনে নিলুম এর সুর কোনোদিন ভুলব না বক্তা কে তাঁর বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে কথাটির তাৎপর্য কী প্রশ্নোত্তর
উত্তর :- " বাবা উপনন্দ তোমার কল্যাণে তাঁর আর এক বির্ণা শুনে নিলুম .." কথাটির বক্তা হলেন সন্ন্যাসী বেশধারী মহারাজ বিজয়াদিত্য । তিনি " তাঁর " বলতে বিনাচার্য সুরসেনকে বুঝিয়েছেন ।
[ ] মহারাজ বিজয়াদিত্য সুরসেনের সুরের ভক্ত ছিলেন । তাঁর বীণার সুর শুনতে পারলে তিনি খুশি হতেন । কিন্তু সুরসেন মারা যাওয়ায় সে সম্ভবনা আর নেই । পরলোকগত সুরসেনের ঋণ শোধ করবার জন্য উপনন্দ নামের বালক খেলা ছেড়ে পুঁথি লিখে উপার্জন করছে শুনে তিনি মুগ্ধ হন । সুরসেনের সঙ্গে উপনন্দের সম্পর্ক জানতে চাইলে উপনন্দ বলেছে সে যখন অনাথ হয়ে এই নগরে আসে ঝড় বৃষ্টিতে মন্দিরে আশ্রয় নেয় তখন পুরোহিত নিচ জাত মনে করে তাকে তাড়িয়ে দেন । সেখানে দেবতাকে বীণা বাজিয়ে শোনাচ্ছিলেন বিনাচার্য সুরসেন । তিনি অসহায় অনাথ শিশু উপনন্দকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন । দরিদ্র হলেও উপনন্দ কে তিনি আশ্রয় দেন তাকে নিজের পুত্রের মতো মনে করেন এবং শিক্ষা দানের ব্যাবস্থা করেন । উপার্জনের জন্য চিত্র বিচিত্র করে পুঁথি নকল করার কাজ শিখিয়েছেন । সেই শিক্ষার সহায়তায় আজ উপনন্দ উপার্জন করে পিতার তুল্য সুরসেনের ঋণ শোধ করছে ।
[ ] এই বৃত্তান্ত শুনে মুগ্ধ হয়েছেন মহারাজ । অনাথ শিশু কে বুকে জড়িয়ে নেওয়ার মানবতার এমন সুর তিনি আগে শোনেন নি । অজ্ঞাত কুলশিল বালককে যে শিক্ষা তিনি দিয়েছেন তারই প্রকাশ দেখেছেন উপনন্দের আচরণে । তাই মুগ্ধ মহারাজ উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন ।
কোন মন্তব্য নেই