ফসিল অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১। কোন অঞ্চলের বিষয় অবলম্বনে " ফসিল " গল্পটি রচিত হয় ?
উত্তর:- নেটিভ স্টেট অঞ্জন গড়ের মহারাজা, বণিক ও কূর্মি প্রজাদের অর্থনৈতিক বিষয় অবলম্বনে "ফসিল" গল্প রচিত ।
২। অঞ্জন গড়ের মহারাজার বিচারে শাস্তি কেমন ?
উত্তর:- চার পুরুষ আগে মহারাজারা শাস্তি দিতেন বিশুদ্ধ শাস্ত্রীয় প্রথায় শূলে চড়িয়ে এখন শাস্তি দেওয়া হয় উলঙ্গ করে মৌমাছি লেলিয়ে দিয়ে ।
৩। অঞ্জন গড় স্টেটের প্রজা বলতে কাদের বোঝানো হতো ?
উত্তর:- অঞ্জন গড় স্টেটের প্রজা বলতে কেবল ভীল আর কুর্মি প্রজাদের বোঝানো হতো ।
৪। প্রজাদের সঙ্গে রাজ সরকারের সংঘাত বাধত কখন এবং কেন ?
উত্তর:- প্রজাদের সঙ্গে রাজ সংঘাত বাঁধত ফসিল আদায়ের সময় । প্রজারা স্বেচ্ছায় উৎপন্ন ফসলের অর্ধাংশ দিতে চাইত না জোর করে আদায় করা হত ।
৫। ভিল রাজ্য রাজ্য ত্যাগ করে কোথায় চলে গিয়েছিল ? কি কারণে ?
উত্তর:- ভিল পুজারা কুলির কাজে যোগ দিতে রাজ্য ত্যাগ করে দিল্লি , কলকাতা , শিলং , মরিসাস প্রভৃতি জায়গায় চলে গিয়েছিল । অঞ্জঙ্গড় রাজ সরকারের অপশাসনে বিরক্ত হয়ে তারা রাজ্য ত্যাগ করেছিল
৬। অঞ্জনগড়ের মহারাজা কাদের সাহায্যে রাজ্য শাসন করতেন ?
উত্তর:- অঞ্জন গড়ের মহারাজার সচিব , সচিবত্তম , ন্যায়াধিশ , ফৌজদার , আমিন , কোতোয়াল , সেরেস্তাদার , আমলা প্রভৃতি পদাধিকারীর সহায়তায় রাজ্য শাষণ করতেন ।
৭। মহারাজা প্রজাদের উপভোগের জন্য কি কি ব্যবস্থা করতেন ?
উত্তর:- মহারাজা প্রজাদের উপভোগের জন্য প্রতি রবিবার চিঁড়ে-গুড় বিলি করতেন , সংক্রান্তির দিন হাতির পিঠে চড়ে মহারাজা আশীর্বাদ বিলি করতেন , জন্মদিনে রামলীলা শোনাবার ব্যবস্থা করতেন । সবই অবশ্য লাঠির সহযোগে পরিবেশিত হত ।
৮। মি. মুখার্জির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে উল্লেখ করো ?
উত্তর:- মি. মুখার্জি সাহসী , কর্মোদ্যোগী , মানবদরদী , উন্নয়ন ভাবনায় উদ্দুধ , ন্যায়পরায়ন বিবেকবান এক যুবক । লেখক তাকে আদর্শবাদী বলেও উল্লেখ করেছেন ।
৯। মুখার্জি কাজে যোগ দিয়ে রাজ সরকারের প্রশাসনে কি কি পরিবর্তন সাধন করেন ?
উত্তর:- মুখার্জি কাজে যোগ দিয়েই লাঠিবাজি বন্ধ করেন । তারপর সমস্ত দপ্তরে অডিট করিয়ে , স্টেটের জমি জরিপ করিয়ে , সেন্সাস করিয়ে উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য সাড়া ফেলে দেন । রাজার কেল্লা বা প্রসাদের চাকচিক্য ফিরিয়ে আনতেও উদ্যোগী হন ।
১০। মুখার্জি কিভাবে রাজ সরকারের আর্থিক সমৃদ্ধির ঘটনা ?
উত্তর:- মুখার্জি অঞ্জনগড়ের রুক্ষ মাটির নিচে অভ্র আর আসেবেস্টস আছে জেনে কলকাতার বণিকদের ডাকিয়ে , ঐ রুক্ষ জমি লক্ষ লক্ষ টাকায় ইজারা করিয়ে দিয়ে রাজ সরকারের আর্থিক সমৃদ্ধির ঘটান ।
১১। স্কুল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে মহারাজারার আপত্তির কারণ কি ?
উত্তর:- স্কুল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে মহারাজার আপত্তির কারণ , দুলাল মাহাতো নামে এক প্রজার লেখা একটি গা জ্বালানো চিঠি । প্রজারা লেখাপড়া শিখলে এই জ্বালাই বাড়িয়ে তোলা হবে আশঙ্কায় তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠায় আপত্তি করেন ।
১২। প্রজাদের পক্ষে কে মহারাজা কে চিঠি লিখেছিলেন ? কার প্ররোচনায় ?
উত্তর:- প্রজাদের পক্ষে দুলাল মাহাতো মহারাজাকে চিঠি লিখেছিলেন । গিবসনের প্ররোচনায় ।
১৩। মাইনে সিন্ডিকেট সদস্যদের নাম কি ? সিন্ডিকেটের চেয়ারম্যান কে ছিলেন ?
উত্তর:- মাইনিং সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন গিবসন , ম্যাককেনা , মুর এবং প্যাটারসন । সিন্ডিকেটের চেয়ারম্যান ছিলেন গিবসন ।
১৪। দুলাল মাহাতো কে
উত্তর:- দুলাল মাহাতো কূর্মী প্রজাদের মোড়ল বা নেতৃস্থানীয় বৃদ্ধ , যে মরিসাসে গিয়েছিল কুলিগিরি করতে । সম্পত্তি সাতটি টাকা আর বুক ভরা হাঁপানি নিয়ে ফিরেই নেতা হয়ে গিবসনের পোষা বেড়ালের ভূমিকা পালন করছে ।
১৫। মিস্টার মুখার্জি রাজ সরকারের কাজ ছেড়ে দিতে চেয়েছেন কেন ?
উত্তর:- রাজ সরকারের সঙ্গে কুর্মীদের ও সিন্ডিকেটের বিরোধ বাঁধার এবং মহারাজের মর্যাদাহানির কারণ হিসেবে মুখার্জীর পলিসি কে দায়ী করা হলে সে দায় স্বীকার করে নিয়ে মুখার্জি পদত্যাগ করতে চেয়েছেন ।
১৬। কোন সংবাদকে মহারাজ " অতি সুসংবাদ " বলে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন ? কেন ?
উত্তর:- চৌদ্দ নম্বর পিট ধ্বসে নব্বই জন কুর্মী নারী-পুরুষ কুলি চাপা পড়ে যায় এই সংবাদটা কে মহারাজা " সুসংবাদ " বলেছেন । কারণ পীঠ ধব্বসে জীবনহানী ঘটায় সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যাবে ওদের জব্দ করা সহজ হবে ।
১৭। কে মহারাজাকে " দুঃসংবাদ " দিয়েছিল ? সুসংবাদটি কি ?
উত্তর:- সচিবোত্তম মহারাজাকে দুঃসংবাদ দিয়েছিলেন । দুঃসংবাদটি ছিল এই যে বিনা টিকিটে কুর্মী প্রজারা লকরী কাটতে জঙ্গলে ঢুকলে এবং রেঞ্জার ও গার্ডদের মারধর করলে ফৌজদার গুলি চালান । তাতে মরেছে বাইশ জন জখম হয়েছে পঞ্চাশের উপর । এই হতাহতের দায় নিতে হবে মহারাজা কেই তাই এটা দুঃসংবাদ ।
কোন মন্তব্য নেই