কঙ্কাল অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১। " কঙ্কাল " গল্পটি কোন পত্রিকার কোন সংখ্যায় প্রকাশিত হয় ?
উত্তর:- " কঙ্কাল " গল্পটি " সাধনা " পত্রিকার ফাল্গুন ১২৯৮ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় ।
২। " কঙ্কাল " গল্পের সূচনায় লেখক কোন বস্তুর উল্লেখ করেছেন ?
উত্তর:- " কঙ্কাল " গল্পের সূচনায় লেখক অস্থিবিদ্যা শিক্ষার উপকরন স্বরূপ একটি আস্ত নর কঙ্কালের উল্লেখ করেছেন ।
৩। " কঙ্কাল " কোন শ্রেণীর গল্প ?
উত্তর:- " কঙ্কাল " অতিপ্রাকৃত বা আধি ভৌতিক গল্প হিসেবে কথিত হলেও এটি আসলে ব্যাথ প্রণয়নের অভিনব গল্প ।
৪। " কঙ্কাল " গল্পের উপাদান কোথা থেকে সংগৃহীত ?
উত্তর:- " কঙ্কাল " গল্পের উপাদান বাল্য স্মৃতি থেকে সংগৃহীত ।
৫। কারা কার কাছে অস্থিবিদ্যা শিখতেন ?
উত্তর:- " কঙ্কাল " গল্পের লেখক আরো দুজন বাল্য সঙ্গীর ক্যাম্বেল স্কুলের এক ছাত্রের কাছে অস্থিবিদ্যা শিখতেন ।
৬। অস্থিবিদ্যা শিক্ষার নরকঙ্কাল টি কোথায় টাঙানো থাকত ?
উত্তর:- অস্থিবিদ্যা শিক্ষার নরকঙ্কাল টি যে ঘরে লেখক তাঁর বাল্য সঙ্গীদের সঙ্গে শয়ন করতেন তার পাশের ঘরের দেওয়ালে টাঙানো থাকত ।
৭। অস্থিবিদ্যা শিক্ষার জন্য ব্যবহৃত নরকঙ্কাল টি কার ?
উত্তর:- অস্থিবিদ্যা শিক্ষার জন্য ব্যবহৃত নরকঙ্কাল টি ছিল একটি বিধবা যুবতী মেয়ের ।
৮। নরকঙ্কাল টি যাঁর সে কীভাবে মারা গিয়েছিল ?
উত্তর:- নরকঙ্কাল টি যাঁর সেই যুবতী ব্যথ প্রেমের যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিল ।
৯। লেখক তাঁর বাল্য সঙ্গীদের সাথে অস্থিবিদ্যা ছাড়া আর কী শিখতেন বা পড়তেন ?
উত্তর:- লেখক তাঁর বাল্য সঙ্গীদের সাথে পন্ডিত মশাইয়ের কাছে " মেঘনাদ বধ " কাব্য পড়তেন ।
১০। " কঙ্কাল " গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কে ?
উত্তর:- " কঙ্কাল " গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র টি হল অপঘাতে মৃত বিধবা যুবতীর অশরীরী আত্মা । তার কোনো নাম ব্যাবহৃত হয় নি ।
১১। " কঙ্কাল " গল্পের মধ্যে দিয়ে জীবনের কোন অবস্থা ফুটে উঠেছে ?
উত্তর :- " কঙ্কাল " গল্পের মধ্যে দিয়ে ব্যার্থ প্রেমের অবস্থা জনিত যন্ত্রণা ফুটে উঠেছে ।
১২। " কঙ্কাল " গল্পের অশরীরী যুবতীর বিবাহিত জীবন কেমন সুখের ছিল ?
উত্তর:- " কঙ্কাল " গল্পের অশরীরী যুবতীর বিবাহিত জীবন মোটেই সুখের ছিল না । শ্বশুর বাড়িতে ।
১৩। অস্থিবিদ্যা শিক্ষার কঙ্কাল টি যে একজন যুবতীর ছিল এটা কীভাবে জানা যায় ?
উত্তর:- অস্থিবিদ্যা শিক্ষার কঙ্কাল টি যে একজন যুবতীর একথা সেই যুবতীর অশরীরী আত্মা নিজেই বলেছে ।
১৪। অশরীরী যুবতী বিবাহিত জীবনে কাকে যমের মতো ভয় করত ?
উত্তর:- অশরীরী যুবতী বিবাহিত জীবনে নিজের স্বামী কে যমের মতো ভয় করত ।
১৫। " কঙ্কাল " গল্পের অশরীরী যুবতী কত বছর বয়সে আত্মহত্যা করেছিল ?
উত্তর:- " কঙ্কাল " গল্পের অশরীরী যুবতী টি ছাব্বিশ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেছিল ।
১৬। মৃত্যুর কত বছর পর অশরীরী আত্মাটি তার কঙ্কাল খুঁজতে আসে ।
উত্তর:- মৃত্যুর ৩৫ বছর পর অশরীরী আত্মা টি তার কঙ্কাল খুঁজতে আসে ।
১৭। অশরীরী আত্মা যখন তার জীবনের কথা লেখককে বলতে শুরু করে তখন সময় কত ? কীভাবে সময়ের কথা জানা যায় ?
উত্তর:- অশরীরী আত্মা যখন তার জীবনের কথা বলতে শুরু করে তখন রাত্রি দুটো । গিরজার ঘড়িতে ঢং ঢং করে দুটো বাজার সংকেত দেয় ।
১৮। " মাছকে বড়শি দিয়া ধরিলে তাহার যেমন মনে হয় আমরাও সেই রূপ মনে হইতো ।" বক্তা কে ? কখন তার এমন মনে হত ?
উত্তর:- " মাছকে বড়শি দিয়া ধরিলে..." কথাটির বক্তা " কঙ্কাল " গল্পের অশরীরী আত্মা । স্বামীর সান্নিধ্য থাকার সময় তাঁর এরূপ মনে হত ।
১৯। বিবাহের কতদিন পরে " কঙ্কাল " গল্পের যুবতীটির স্বামী মারা যায় ?
উত্তর:- বিবাহের মাত্র দুই মাস পরে যুবতীর স্বামী মারা গিয়েছিলেন ।
২০। " কঙ্কাল " গল্পের যুবতীর চেহারা কেমন ছিল ?
উত্তর:- " কঙ্কাল " গল্পের যুবতীর আত্মা নিজেই জানিয়েছেন সে সুন্দরী ছিল । চোখ ছিল বড় বড় টানা এবং কালো । ঠোঁটের উপর হাসি লেগে থাকত । শরীরে লালিত্য এবং লাবণ্য ছিল । নিটোল পরিপূর্নতা ছিল ।
২১। " কঙ্কাল " গল্পের অশরীরী আত্মা কোন কোন পৌরাণিক চরিত্রের উল্লেখ তার কথার মধ্যে করেছে ?
উত্তর:- " কঙ্কাল " গল্পের অশরীরী আত্মা তার কথার অর্জুন - সুভদ্রা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছে ।
২২। স্বামীর মৃত্যুর পর যুবতীটি কোথায় আশ্রয় নেয় ?
উত্তর:- স্বামীর মৃত্যুর পর যুবতীটি তার দাদার সংসারে আশ্রয় নেয় ।
২৩। শশীশেখর পেশা কী ছিল ?
উত্তর:- শশীশেখরের পেশা ছিল ডাক্তারী ।
২৪। শশীশেখরের মদের পাত্রে যুবতী কী মিশিয়েছিল ? কেন ?
উত্তর:- শশীশেখরের মদের পাত্রে যুবতী বিষ মিশিয়েছিল । তার সঙ্গে প্রণয় হওয়া সত্বেও তাকে অপেক্ষা করে বিশ্বাস ঘাতকতা করে শুধু পণের টাকা আর সামাজিক মর্যাদা লাভের আশায় শশীশেখর অন্যত্র বিবাহ করতে যাচ্ছে শশী অন্যের হতে যাচ্ছে এটা জেনে সহ্য করতে না পেরেই যুবতী শশীশেখরের সরবতে বিষ মিশিয়ে হত্যা করেছিল । নিজেও বিষ পান করেছিল ।
২৫। শশীশেখর বিয়েতে কত টাকা পণ পাচ্ছিল ?
উত্তর:- শশীশেখর বিয়েতে হাজার টাকা পণ পাচ্ছিল ।
২৬। শশীশেখরের বিয়ের লগ্ন কখন ছিল ?
উত্তর:- শশীশেখরের বিয়ের লগ্ন ছিল অনেক রাত্রে ।
২৭। সময় কাটাবার জন্য বিয়ের রাতের প্রথম ভাগে শশীশেখর কী করছিল ?
উত্তর:- বিয়ের রাতের প্রথম ভাগে শশীশেখর যুবতীর দাদার ছাতে বসে অভ্যাস মতো মদ্যপান করছিল ।
২৮। কোন গুঁড়া খেলে মানুষ মরবে এ শিক্ষা যুবতী কার কাছে পেয়েছিল ?
উত্তর:- যুবতী নিজেই বলেছে " কোন গুঁড়া খাইলে মানুষ মরে ডাক্তারের কাছে শিখিয়াছিলাম " ডাক্তার এ খানে শশীশেখর ।
২৯। শশীশেখর কীসে চেপে বিয়ে করতে যায় ?
উত্তর:- শশীশেখর যুবতীর দাদার জুড়ি গাড়িটা ধার নিয়ে তাতে চেপেই বিয়ে করতে যায় ।
কোন মন্তব্য নেই