প্রাগৈতিহাসিক অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১। " সমস্ত বর্ষাকালটা ভিখু ভয়ানক কষ্ট পাইয়াছে ।" ভিখু কে ? সে কষ্ট পেয়েছে কেন ?
উত্তর:- " সমস্ত বর্ষাকালটা ভিখু ..।" ভিখু প্রাগৈতিহাসিক গল্পের প্রধান চরিত্র । সে ডাকাত দলের সদস্য । ডাকাতি করতে গিয়ে খুন করে জখম হয়ে মরন এবং পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বিনা চিকিৎসায় লুকিয়ে থেকে ঘা নিয়ে কষ্ট পেয়েছে ।
২। " জানাজানি হইয়া গেলে আমি কনে যামু ? খুন টা যদি না করতিস " কে কাকে একথা বলেছে ? সে কাকে খুন করেছে ?
উত্তর:- " জানাজানি হইয়া গেলে আমি কনে যামু ?..." কথাটা পেহলাদ বাগদী বলেছে ভিজ্য । ভিখু দলবল নিয়ে বসন্তপুরের বৈকণ্ঠ সাহার গতিতে ডাকাতি করতে গিয়ে সেখানে খুন করে বসে সাহা বাড়ির মেজ কর্ত্তা কে ।
৩। ভিখু শেষবার ডাকাতি করতে যায় কোথায় ? সেটা কোন মাস ছিল ? তাদের দলে কতজন ছিল ?
উত্তর:- ভিখু শেষবার ডাকাতি করতে যায় বসন্তপুরের বৈকুন্ঠ সাহার গদিতে । সেটা ছিল আষাঢ় মাস । ভিখুর দলে ছিল এগারো জন ।
৪। আহত ভিখু আশ্রয় নিতে এলে পেহলাদ তাকে কোথায় রেখেছিল ? কেন ?
উত্তর:- আহত ভিখু আশ্রয় নিতে এলে পেহলাদ তাকে জঙ্গলের মধ্যে বাঁশের মাচা করে তাতে রেখেছিল । খাবার জন্য কিছু চিড়ে গুর জল দিয়েছিল । ভিখু খুনের আসামি ছিল । পুলিশ তাকে খুঁজবেই । যদি পেহলাদের বাড়িতে পায় তাহলে পেহলাদেও বিপদে পড়তে হবে । এজন্যই সে কিছুদিন ভিখু কে জঙ্গলে লুকিয়ে লুকিয়ে রেখেছিল । পরে অবশ্য ঘরে আশ্রয় দিয়েছিল ।
৫। " এমন নেমকহারাম মানুষটিকে একেবারে খুন করিয়া ফেলায় কর্তব্য ।" নেমকহারাম কাকে বলা হয়েছে ? কেন ?
উত্তর:- " এমন নেমকহারাম মানুষটিকে ...।" এখানে নেমকহারাম বলা হয়েছে ভিখুকে । এ আহত মৃতপ্রায় ভিখু কে জঙ্গল থেকে বাড়িতে এনে তার সুস্বাস্থ্য ও খাবারের ব্যবস্থা করে তাকে বেঁচে উঠতে সাহায্য করে পেহলাদ । সেই পেহলাদেরই বউকে সে বে ইজ্জৎ করতে যায় । তাই সে নেমকহারাম ।
৬। " হায় সর্ব্বনাশ হায় সর্ব্বনাশ ! ঘরকে আমার শনি আইছিল ।" বক্তা কে ? শনি কাকে বলা হয়েছে ? কেন ?
উত্তর:- " হায় সর্ব্বনাশ হায় সর্ব্বনাশ ।" কথাটার বক্তা পেহলাদ বাগদী । শনি বলা হয়ে হয়েছে ভিখু কে । যে পেহলাদ ভিখু কে বেঁচে উঠতে সাহায্য করে , তারই বউকে সে বে ইজ্জৎ করতে যায় । এতে ক্ষুদ্র পেহলাদ ভিখু কে তাড়িয়ে দিলে রাত্রে এসে সে পেহলাদের ঘর জ্বালিয়ে দেয় । তাই তাকে শনি বলেছে ।
৭। " কোর্টের ডান দিকের হাতটি সে তাই বগলের কাছ হইতে ছিঁড়িয়া বাদ দিয়াছে ।" কে , কেন এমনটা করেছে ?
উত্তর:- " কোর্টের ডানদিকের হাতটি সে বাদ দিয়াছে..।" প্রাগৈতিহাসিক গল্পে ভিখু এমনটা করেছে । এক সময় ডাকাতি করতে গিয়ে ডান কাঁধে আঘাত পেয়ে মারাত্মক আহত হয় ভিখু ।বেঁচে গেলেও তার ডান হাতটা শুকিয়ে দড়ির মতো হয়ে যায় । আঘাতে চিহ্নটা গোপন করার প্রয়োজন থাকলেও শুকনো হাতটা ভিক্ষায় বিজ্ঞাপনের কাজ করে । তাই , হাতটা বিজ্ঞাপিত করার জন্যই এমনটা করেছে ।
৮। ভিখারী ভিখুর মনে ধরে যে মেয়েটি তার নাম কি ? তার চেহারা কেমন ?
উত্তর:- ভিখারী ভিখুর মনে ধরা মেয়েটির নাম পাঁচি । তার চেহারা মন্দ নয় । বয়স বেশি নয় , দেহের বাঁধুনিও বেশ । কেবল একটা পায়ে হাঁটুর নীচে থেকে তৈলাক্ত ঘা ভিক্ষা সহায়ক বিজ্ঞাপন ।
৯। পাঁচি কে রাখনি হিসেবে পেতে ভিখু কাকে কিভাবে খুন করে ?
উত্তর:- পাঁচি কে রাখনি হিসেবে পেতে ভিখু বসির মিয়া কে খুন করে মাথার ব্রহ্মতালুতে একটা চোখা লোহার শিক ঢুকিয়ে দিয়ে এবং গলা টিপে ধরে ।
১০। বসির মিয়াকে খুন করে ভিখু তার সঞ্চিত অর্থ উদ্ধার করে তাতে কত টাকা ছিল ? সেই টাকার সন্ধান কে দেয় ?
উত্তর:- বসির মিয়াকে খুন করে ভিখু তার সঞ্চিত অর্থ উদ্ধার করে পায় টাকায় আধুলিতে মিলে একশত টাকার ওপর । তাকে সেই টাকার সন্ধান দেয় পাঁচি ।
১১। পা চলা পাঁচি, এক ক্রোশ পথ হাঁটন লাগব " বক্তা কে ? কিভাবে তারা এতটা পথ যায় ?
উত্তর:- বক্তা ভিখু । পাঁচি কে পিঠে নিয়ে ভিখু এতটা পথ পথ যায় ।
কোন মন্তব্য নেই