প্রাগৈতিহাসিক গল্পের ভিখুর অপরাধের একটা তালিকা প্রস্তুত করো তার শেষ অপরাধ কোনটা প্রশ্নোত্তর
উত্তর:- " প্রাগৈতিহাসিক " গল্পের ভিখু চরিত্র টি একটি অপরাধী চরিত্র । গল্পে তার অনেক অপরাধের কথা উল্লেখ আছে । একটা খুনের অপরাধের কথা দিয়েই গল্পের শুরু । ভিখু ডাকাত । দলবল নিয়ে মানুষের গৃহে হামলা করে টাকাপয়সা , গহনা কেরে আনাটাই তাঁর পেশা । এই উদ্দেশ্যই বৈকন্ঠ সাহার গদিতে ডাকাতি করতে গিয়েছিল । কিন্তু দল শুদ্ধ ধরা পড়ে যায় , কেবল ভিখুই কাঁধে জখম নিয়ে পালিয়ে এসেছে । এই ডাকাতিতে সাহা বাড়ির মেজো কর্তা কে সে খুন করে এসেছে ।
[ ] এই খুনি ডাকাত , আহত ভিখু কে বাঁচতে সাহায্য করে পেহলাদ বাগদি । একটু সুস্থ হয়েই সে পেহলাদের বউয়ের হাত ধরে টানে । এই অপরাধে ক্ষুন্ন পেহলাদ আর ভরত ভিখু কে প্রহার করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় । অকৃতজ্ঞ ভিখু রাত্রে পেহলাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে রাতারাতি নৌকা করে অনেক দূরে পালিয়ে যায়।
[ ] এরপর শুরু হয় ভিখুর ভিখারির জীবন । এ জীবন তার বিড়াম্বনা , তৃপ্তিহীন । বসে বসে সে তার খুশির দিনের কথাগুলো স্মরণ করত । তার মধ্য দিয়েই তা ভয়ঙ্কর অপরাধগুলোর একটা তালিকা পেয়ে যায় ।
১) বহুবার ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে একবার । সঙ্গী রাখু বাগদীর সঙ্গে শ্রীপতি বিশ্বাসের বোন কে চুরি করেছিল ।
২) এই অপরাধে ধরা পড়ে সাত বছরের জেল হয় । কিন্তু জেলের প্রাচীর ডিঙিয়ে পালায় ।
৩) গৃহস্থ বাড়ির বেড়া বা দেয়াল কেটে চুরি করেছে ।
৪) অকর্মের সঙ্গী রাখুর বউকে নিয়ে একবার সমুদ্র পেরিয়ে হাতিয়ায় পালিয়ে গিয়েছে । দুমাস সেখানে কাটাবার পর বউটাকে ফেলে একাই চলে এসেছে ।
৫) তারপর থেকে দল গঠন করে কত ডাকাতি আর খুন করেছে । কি জীবন ছিল আর আজ সে ভিখারী হয়েছে । শুধু ডান হাতটা নেই বলে । ভিখুর শেষ গুরুতর অপরাধ হল ভিখারিনী পাঁচিকে রাখনি হিসেবে পাওয়ার জন্য বসির মিঞা কে হত্যা করে তার সঞ্চিত অর্থ আত্মসাৎ করা ।
কোন মন্তব্য নেই