পুঁইমাচা গল্পের সহায়হরি চরিত্রটি আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর
১। "পুঁইমাচা " গল্পের সহায়হরি চরিত্রটি আলোচনা করো ।
উত্তর:- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের "পুঁইমাচা" গল্পের প্রধান পুরুষ চরিত্র টি হল সহায়হরি । নির্ধন, অক্রমন্য, স্বভাবভীরু বলতে কিছু নেই , অথচ তিনটি কন্যা । প্রথমটাতো বিবাহযোগ্য । অর্থনৈতিক দুরবস্থা সহায়হরির গা সওয়া হয়ে গেছে বলেই সে কোনো কিছু নিয়ে তেমন ভাবতে রাজি নয় । স্ত্রীর তিরস্কারেও নয় ।
[ ] অকর্মন্য বাপ হলেও মেয়েদের সহায়হরি খুবই ভালোবাসে । তাদের খোরাক জোটাতে সে উচ্চবৃত্তি করতে , এমনকি চুরি করতেও দ্বিধা করে না । বড়ো মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বরজ পোতায় পরের জমির মেটে আলু তুলে এনে স্ত্রীর কাছে মিথ্যা কথা বলেছে ।
[ ] সমাজে থাকতে গেলে মেয়ের বিয়ে দিতে হয় । সাধ্য কম বলেই সহায়হরি দ্বিতীয় পক্ষে ক্ষেন্তীর বিয়ে দেন । কিন্তু সে বিয়ে সুখের হয়নি । পণের আড়াইশো টাকা বাকি থাকায় ক্ষেন্তি শ্বশুরবাড়িতে যত্ন পায়নি । বসন্তে বিনা চিকিৎসায় মারা যায় । ক্ষোভে-দুঃখে সহায়হরির চোখে জল আসে । টাকা দিতে না পারায় ক্ষেন্তীর শ্বশুরবাড়ির লোক তাকে পাঠাতে চাই নি ।
[ ] অর্থ না থাকলেও সহায়হরির বংশগৌরবের অহংকার ছিল , ক্ষেন্তীর শশুর বাড়ির লোক সহায়হরিকে "ছোটলোক " বলায় সে প্রতিবেশী বিষ্ণু সরকার কে বলেছে , " বলি আমরা ছোটলোক বড়লোক , তোমরা তো খুড়ো সরকার জানতে বাকি নেই , বলি পরমেশ্বর চাটুয্যর নামে নীলকুঠির আমলে এ অঞ্চলে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেয়েছে , আজই না হয় আমি .. বিংশ শতাব্দীর কন্যাদায়গ্রস্থ , অকর্মন্য প্রোঢ ব্রহ্মানের চরিত্র হিসেবে সহায়হরি অবশ্যই সার্থক চরিত্র । তবে গল্পে চরিত্র টি তেমন গুরুত্ব পায়নি ।
কোন মন্তব্য নেই