মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১

ভেবেছিলাম অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

 

বাংলা অনার্স সাম্মানিক ভেবেছিলাম অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর Bengali honours vebechilam oti songkhipto questions answer


                   

১। সন্তোষ কুমার ঘোষের পেশা কি ছিল ?


উত্তর:- সন্তোষ কুমার ঘোষ ছিলেন লেখক সাংবাদিক । তিনি যুগান্তর , মর্নিং নিউজ , স্টেটসম্যান , আনন্দবাজার প্রকৃতি কাগজে সাংবাদিকতা করেছেন । আনন্দবাজার পত্রিকার যুগ্ম বার্তাসম্পাদক থাকাকালেই তার মৃত্যু হয় ।


২। " ভেবেছিলাম " গল্পের মূল কথাটা একটি বাক্যে লেখো । 


উত্তর:- লেখকের গ্রামে থাকার সময়ে প্রতিকূল পরিবেশে খুবই দুঃখ পেয়ে ভেবেছিলেন কলকাতায় থাকতে পারলে সব দুঃখ ঘুচে যাবে , কিন্তু কলকাতায় এসেও তাঁদের দুঃখ ঘুচল না ।


৩। " ভেবেছিলাম " গল্পে কোন সালের উল্লেখ আছে ? তখন লেখকের বয়স কত ?


উত্তর:- "ভেবেছিলাম" গল্পে উনিশশো ত্রিশ সালের উল্লেখ আছে । তখন লেখকের বয়স ছিল দশ এগারো বছর ।


৪। মফস্বলে থাকাকালে কোন সময়ে লেখকদের খুবই ভোগান্তি হতো ? কেন ?


উত্তর:- মফস্বলে থাকাকালে টানা বৃষ্টির সময় লেখকদের খুবই ভোগান্তি হত । জলে ভেসে যেত রাস্তাঘাট , উঠোন , বারান্দা , রান্নাখাওয়া ঘুচে যেত ।


৫। " মা " বলল চোর দিদি বলল চৌকিদার ।" কাকে চোর বা চৌকিদার বলা হয়েছে ? লেখক তাকে কি মনে করেছে ?


উত্তর:- রাতের অন্ধকারে কিছু একটা ছপ ছপ শব্দ করে ভয়ার্ত লেখকের কাছে এসে আবার ফিরে যায় । যে শব্দ করে এসেছিল তাকেই চোর বা চৌকিদার বলা হয়েছে । লেখক তাকে অশরীরী কিছু ভাবেন । 

৬। ঝড় বৃষ্টির রাতের অবসানে লেখ কি দেখেন ?


উত্তর:- ঝড় বৃষ্টির রাতের অবসানে লেখক দেখেন রান্না ঘরের ঘরের চালাটা উড়ে গিয়ে নারকেল গাছের মাথায় ছাতা হয়েছে বিড়ালটা আধমরা হয়ে পড়ে আছে এই সব ।


৭। গ্রামের থাকা কালে লেখকদের সংসার চলত কিভাবে ?


উত্তর:- লেখকের বাবা কলকাতায় চাকরি করতেন । মানি অর্ডার করে টাকা পাঠাতেন । সেই টাকায় কোনরকমে মা সংসার চালাতেন । 


৮। অভাবের দুঃখ-যন্ত্রণার মাঝে মা কি বলে ছেলে মেয়েদের আশ্বস্ত করতেন ?


উত্তর:- অভাবের যন্ত্রণার দিনে মা ছেলে মেয়েদের বলতেন " আমরা কোলকাতা যাবো " যেন কলকাতায় গেলেই সব দুঃখ যন্ত্রণার অবসান ।


৯। লেখকের মা-মেয়েকে মারতেন কেন ?


উত্তর:- লেখকের দিদির উদ্দেশ্যে কিছু বার্ড সাই  টানা মন্ত স্বভাবের ছেলে ঘুরঘুর করত । দিদি তাদের প্রশ্রয় দিত । জন্য মা রেগে গিয়ে মেয়েকে শাসন করতে মারতেন । 


১০। লেখ কাদের সঙ্গে কিসে চেপে প্রথম কলকাতায় আসেন ?


উত্তর:- লেখক মা আর দিদির সঙ্গে ইঞ্জিনে টানা রেল গাড়িতে চেপে প্রথম কলকাতায় আসেন ।

১১। কলকাতার যেখানে লেখকদের বাবা বাসা নেন তার রাস্তা গুলো কেমন ?


উত্তর:- কলকাতার একটা বস্তি অঞ্চলে বাবা বাসা নেন , যেখানকার রাস্তাগুলো সাপের বাচ্চার মতো কালো কিলবিলে । যেমন নোংরা , তেমনি দুর্গন্ধযুক্ত ।


১২। কলকাতায় লেখকদের বাসাটা কেমন ছিল ?


উত্তর:- কলকাতায় লেখকদের বাসাটা ছিল এক কামরার । অন্য ঘরগুলোতে অন্য ভাটিয়ারা  থাকতেন , একটাই উঠোন । সাতঘর ভাটিয়ার একটাই কলতলা ।


১৩। কলকাতায় বাসায় দমবন্ধ মাকে বাবা কোথায় নিয়ে যাবার কথা বলতেন ? নিয়ে যাওয়া হতো না কেন ?


উত্তর:- কলকাতার বাসায় দমবন্ধ মাকে বাবা থিয়েটার দেখাতে নিয়ে যাবার কথা বলতেন । রবিবারে যাওয়ার কথা বললেও বাবার পাত্তা পাওয়া যেত না , বলতেন স্পেশাল ডিউটি নেওয়ায় যাওয়া হলো না ।


১৪। কলকাতায় গিয়ে লেখকের দিদি তার বাবার কাছে কি চেয়ে রেখেছিল ? পেয়েছিল কি ? 


উত্তর:- কলকাতায় গিয়ে দিদি তার বাবার কাছে পাবলিভ সাবান চেয়েছিল । কিন্তু পাইনি ।


১৫। " বিপদ কেটে যাক , মাকে পুজো দেব ।" বক্তা কে ? কোন মেয়ের কথা বলা হয়েছে ? বিপদটাই  বা কি ?


উত্তর:- " বিপদ কেটে যাক "  বক্তা  "ভেবেছিলাম" গল্পের লেখকের মা । তিনি কালীঘাটের কালী মায়ের কথা বলেছেন । বাবা যে কারখানায় কাজ করতেন সেটার মালিকানা হাত বদল হওয়ায় কাজ আপাতত বন্ধ ,  তাই উপার্জন নেই । গরিবের সংসারে এটাই তো বিপদ ।

১৬। পাশের ঘরে বউটার স্বামী কি কাজ করতো ? 


উত্তর:- পাশের ঘরের বউটার স্বামী জিপিওতে চাকরি করতো । আবার ছুটির পরে ছেলে পড়াত ।


১৭। লেখকের বাবা কত দূর লেখাপড়া জানতেন ?


উত্তর:- লেখকের বাবা আই এ পর্যন্ত পড়ে পড়া ছাড়তে বাধ্য হন । ভাইদের দায়িত্ব নিতে হয় বলে  ।


১৮। বাবা যার টাকা ভরসা করে চায়ের দোকান খুলবে বলে পরিকল্পনা করতেন আর মায়ের বানানো চা খেতেন সে লোক আসা বন্ধ করে কেন ? 


উত্তর:- বাবার সঙ্গে চায়ের দোকান খোলার লোকটি ভালো ছিল না । সে একদিন দিদির হাত চেপে ধরায় এঘরে তার আসা বন্ধ হয় ।


১৯। লেখকের কলকাতার বাসায় কোন আত্মীয় বেড়াতে এসেছিলেন ?


উত্তর:- লেখকদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন রাঙ্গা জ্যাঠাইমা । বাবার এক জ্ঞাতি দাদার বিধবা স্ত্রী । আর এসেছিলেন বরুণ মামা ।


২০। বরুণ মামা কোথায় থাকেন ? তিনি কলকাতায় কেন এসেছিলেন ?


উত্তর:- বরুণ মামা থাকেন চাঁটগাঁয় । তিনি কলকাতায় আসেন মামলা তদ্দিরের জন্য ।

২১। বরুণ মামা লেখকের বাবার বাসায় না থেকে কোথায় থাকতে গিয়েছিল ? তাতে বাবার রাগ হয় কেন ?


উত্তর:- বরুণ মামা এক দূর সম্পর্কের বোন বাণীর বাসায় গিয়ে উঠেছে । লেখকদের বাসায় জায়গা কম বলে । এতে বাবার রাগ হয় কারণ মামলার কারণে মামাকে মাসাধিক কাল থাকতে হবে । মামা থাকা খাওয়া বাবদ কিছু টাকা অবশ্যই দেবে , সেটা পাবে বাণী । এটাই বাবার রাগের কারণ ।


২২। জ্যাঠাই মা হঠাৎই বাসা ছেড়ে চলে যান কেন ?


উত্তর:- জ্যাঠাই মা বাসায় থাকলে তার খাওয়া থাকার হ্যাপা সামলাতে  হয় , খরচও হয় । কোনও টাকা না দিয়ে ঘাড়ে বসে খাচ্ছেন । তাই ক্রোধের বসে জ্যাঠাইমার আনা চালতে দুটি পদাঘাতে ফেলে দেন । তাই অপমানিতা জ্যাঠাইমা সেদিনই বাসা থেকে বিদায় নেন ।


২৩। লেখকের বাবা ও মা দিদিকে চুলের মুঠি ধরে মেড়েছিল কেন ?


উত্তর:- দিদি বকাটে ছেলেদের সঙ্গে সিনেমায় গিয়েছিল বলেই তার বাবা ও মা তাকে মারধর করেছেন ।


২৪। বাবা দিদির বিয়ে দেবার জন্য কাদের ধরে এনেছিল ? কেন ?


উত্তর:- বাবা পাত্রপক্ষ হিসেবে " মেয়েছেলের টাউট "  ধরে এনেছিল । মেয়েকে বিক্রি' করে কিছু টাকা পাবার আশায় । মেয়ে বড় হয়েছে ওকে আর ঘরে রাখা যায় না যে ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন