শৈবলিনীর অপহরণের দুঃসংবাদ কে প্রতাপ কে জানিয়েছিল ? প্রতাপ কীভাবে শৈবলিনী কে ফষ্টরের হাত থেকে উদ্ধার করে ?
উত্তর:- শৈবলিনীর অপহরণের দুঃসংবাদ প্রতাপ কে জানায় সুন্দরী । সুন্দরী জানত , শৈবলিনী কে উদ্ধার করার ব্যাপারে সে ব্যার্থ হলেও প্রতাপ হয়ত ব্যার্থ হবে না । তাই প্রতাপ কে সংবাদ টা জানাতে গিয়েছিল ।
[ ] প্রতাপ সংবাদ টা শোনামাত্র বিশ্বস্ত ভৃত্য রাম চরণকে সঙ্গে নিয়ে মুঙ্গেরের উদ্দেশ্য রওনা হয় । ফষ্টরের বজরা নজরে আসবার পর কিছু দূরে , ঝোপের মধ্যে নিজেদের নৌকা লুকিয়ে রেখে পায়ে হেঁটে অন্ধকার ঘনিয়ে আসার আগেই তারা বজরার কাছে পৌঁছে যায় । পরিকল্পনা মতো বন্ধুক হাতে রামচরণ কূলে , কোসার বনের মধ্যে অপেক্ষা করে , আর প্রতাপ জলে নেমে বজরার পাশে অপেক্ষা করে । এক সময় একটা গুলির শব্দ হয় , বজরার উপরে প্রহরারত তেলিঙ্গা সৈন্য আহত হয়ে জলে পড়ে । শব্দ শুনে ফষ্টর সাহেব বজরার বাইরে এলে তাকেও গুলি করা হয় । সেও আহত হয়ে জলে পড়ে । সুযোগ বুঝে প্রতাপ বজরার দড়ি গুলো কেটে দিয়ে নৌকায় উঠে পড়ে এবং লগির আঘাতের ভয় দেখিয়ে মাল্লাদের দাঁড় টানতে বাধ্য করে ।
[ ] নিরাপদ দূরত্বে আসবার পর প্রতাপের নির্দেশে বজরা কূলে ভেরে । রামচরণ ততক্ষনে বজরার কাছে পৌঁছে যায় । প্রভূর নির্দেশে রামচরণ একটা শিবিকা আনিয়ে শৈবলিনীকে উদ্ধার করে , হাঁটা পথে তাকে নিয়ে এসেছে প্রতাপের বাড়িতে । প্রতাপ অবশ্য নিজের বাড়িতে শৈবলিনীকে আনতে চায়নি । রামচরণ নিজের বুদ্ধিতেই এনেছে , কিন্তু আনার সময় খেয়াল করেনি এক তেলিঙ্গা সৈনিক তাদের অনুসরণ করেছে ।
কোন মন্তব্য নেই