শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১

শৈবলিনীর অপহরণের দুঃসংবাদ কে প্রতাপ কে জানিয়েছিল ? প্রতাপ কীভাবে শৈবলিনী কে ফষ্টরের হাত থেকে উদ্ধার করে ?

 

বাংলা অনার্স শৈবলিনীর অপহরণের দুঃসংবাদ কে প্রতাপ কে জানিয়েছিল প্রতাপ কীভাবে শৈবলিনী কে ফষ্টরের হাত থেকে উদ্ধার করে bangla Honours shoibolinir opohoroner dukhosongbad ke protap ke janiyechilo protap kivabe shoibolini ke foshtorer hat theke uddhar kore


                       প্রশ্নের মান - ৫/৬



প্রশ্ন: শৈবলিনীর অপহরণের দুঃসংবাদ কে প্রতাপ কে জানিয়েছিল ? প্রতাপ কীভাবে শৈবলিনী কে ফষ্টরের হাত থেকে উদ্ধার করে ?

উত্তর:- শৈবলিনীর অপহরণের দুঃসংবাদ প্রতাপ কে জানায় সুন্দরী । সুন্দরী জানত , শৈবলিনী কে উদ্ধার করার ব্যাপারে সে ব্যার্থ হলেও প্রতাপ হয়ত ব্যার্থ হবে না । তাই প্রতাপ কে সংবাদ টা জানাতে গিয়েছিল ।

[      ] প্রতাপ সংবাদ টা শোনামাত্র বিশ্বস্ত ভৃত্য রাম চরণকে সঙ্গে নিয়ে মুঙ্গেরের উদ্দেশ্য রওনা হয় । ফষ্টরের বজরা নজরে আসবার পর কিছু দূরে , ঝোপের মধ্যে নিজেদের নৌকা লুকিয়ে রেখে পায়ে হেঁটে অন্ধকার ঘনিয়ে আসার আগেই তারা বজরার কাছে পৌঁছে যায় । পরিকল্পনা মতো বন্ধুক হাতে রামচরণ কূলে , কোসার বনের মধ্যে অপেক্ষা করে , আর প্রতাপ জলে নেমে বজরার পাশে অপেক্ষা করে । এক সময় একটা গুলির শব্দ হয় , বজরার উপরে প্রহরারত তেলিঙ্গা সৈন্য আহত হয়ে জলে পড়ে । শব্দ শুনে ফষ্টর সাহেব বজরার বাইরে এলে তাকেও গুলি করা হয় । সেও আহত হয়ে জলে পড়ে । সুযোগ বুঝে প্রতাপ বজরার দড়ি গুলো কেটে দিয়ে নৌকায় উঠে পড়ে এবং লগির আঘাতের ভয় দেখিয়ে মাল্লাদের দাঁড় টানতে বাধ্য করে । 


[     ] নিরাপদ দূরত্বে আসবার পর প্রতাপের নির্দেশে বজরা কূলে ভেরে । রামচরণ ততক্ষনে বজরার কাছে পৌঁছে যায় । প্রভূর নির্দেশে রামচরণ একটা শিবিকা আনিয়ে শৈবলিনীকে উদ্ধার করে , হাঁটা পথে তাকে নিয়ে এসেছে প্রতাপের বাড়িতে । প্রতাপ অবশ্য নিজের বাড়িতে শৈবলিনীকে আনতে চায়নি । রামচরণ নিজের বুদ্ধিতেই এনেছে , কিন্তু আনার সময় খেয়াল করেনি এক তেলিঙ্গা সৈনিক তাদের অনুসরণ করেছে ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন