প্রশ্নের মান - ৫/৬
প্রশ্ন : " এই পত্রকে সূত্র করিয়া বিধাতা দলনী আর শৈবলিনীর অদৃষ্ট একত্র গাথিলেন " কোন পত্রের কথা বলা হয়েছে ? সেই পত্র কীভাবে দলনী আর শৈবলিনীকে এক সূত্রে গাঁথল ?
উত্তর:- " এই পত্রকে সূত্র করিয়া বিধাতা ..." এ খানে দলনী বেগম কতৃর্ক গুরগণ খাঁ কে লেখা একটি পত্রের কথা বলা হয়েছে । পত্রটি গোপনীয় ছিল , কিন্তু দূর্ষণীয় নয় । সার্থপর গুরগণ খাঁ ইংরেজদের সঙ্গে নবাবের যুদ্ধ যাতে না বাধান , সেই কথা জানাতে তিনি গুরগণ খাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে পত্র পাঠিয়েছিলেন । দলনী বেগম দাসী কুলসুমকে সঙ্গে নিয়ে গুরগণ খাঁর কাছে যান । কিন্তু আর প্রসাদে ফিরতে পারেননি । নিজের পরিকল্পনা বরবাদ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় গুরগণ নিজের লোকদের নির্দেশ দিয়ে দলনীর প্রসাদে প্রবেশ আটকে দেয় । অসহায়া দলনী আর কুলসমের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ব্রাহ্মচারী চন্দ্রশেখরের সঙ্গে । তিনি রাত্রি বাসের জন্য একটা বাড়িতে আশ্রয়ের ব্যাবস্থা করে দেন ।
[ ] এদিকে শৈবলিনী কে অপহরণ করে যে নৌকা করে ফষ্টর সাহেব যাচ্ছিলেন , ফষ্টর কে গুলি করে জলে ফেলে সেই নৌকা অপহরণ করেন প্রতাপ । পরে প্রতাপের ভৃত্য রামচরণ শৈবলিনী কে নৌকা থেকে নামিয়ে শিবিকা সহযোগে প্রতাপের বাড়িতে এনে আশ্রয় দেয়।, সে বাড়িতে ইতিমধ্যেই আশ্রয় দেওয়া হয়েছে দলনী আর কুলসুমকে । সাহেবদের সেপাই বাড়ির ঠিকানাটা জেনে গিয়ে সাহেবদের জানালেন গলষ্ঠন আর জনসন সাহেব সেপাই। সহ। এসে ফস্টরের বিবি মনে করে দলনী আর কুলসুমকে ধরে নিয়ে যায় । এখানেই দলনীর অদৃষ্ট আর শৈবলিনীর অদৃষ্ট এক সঙ্গে জড়িয়ে যায় এক সূত্রে বিধাতা যেন গেঁথে দেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন