এই সময় বাংলার যে সকল রাজপুরুষ নিযুক্ত ছিলেন তার মধ্যে গুরগণ খাঁ একজন সর্বশ্রেষ্ট এবং সবোত্বকৃষ্ট এই গুরগণ খাঁর পরিচয় দাও ।
প্রশ্নের মান - ৫/৬
প্রশ্ন: " এই সময় বাংলার যে সকল রাজপুরুষ নিযুক্ত ছিলেন তার মধ্যে গুরগণ খাঁ একজন সর্বশ্রেষ্ট এবং সবোত্বকৃষ্ট এই গুরগণ খাঁর পরিচয় দাও ।
উত্তর:- গুরগণ খাঁ মীরকাসেমের সেনাপতি । তিনি জাতিতে আরমানি জন্মস্থান ইস্পাহান । শোনা যায় পূর্বে তিনি বস্ত্র ব্যাবসায়ী ছিলেন । উপন্যাসের সমস্যা তৈরী করতে এই চরিত্রটির ভূমিকা যথেষ্ঠ । গুরগন ছিলেন অত্যন্ত উচ্চাভিশালি । বাংলার শাসন ক্ষমতা নিজের করায়ত্ত করার অভিসন্ধি ছিল তাঁর মনে । তাই তিনি মনে মনে চাইতেন ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ বাধুক । নবারের সৈন্যরা সাহায্য ইংরেজ কে দেশ থেকে বিতারিত করে পরে নবাব কে ক্ষমতাচ্যুত করবেন । সেই উদ্দেশ্যই নিজের ভগিনী দলনী কে নবাবের অন্তপুরে প্রবেশ করিয়েছে । কিন্তু , দলনী মীরকাসেমের বেগম হয়ে তাকে ভালোবেসে গুরগণের স্বার্থের বিরোধী হয়ে ওঠে । গুরগণ যে দলনীর ভ্রাতা তা গোপন রাখা হয়েছিল সেই গুরগনের সুবিধাথে । এখন গুরগনের সুবিধা করে দেওয়ার । থেকেও দলনীর কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ন। নবাবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা । ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে নবাবের ক্ষতির সম্ভাবনা । অথচ গুরগণ যুদ্ধ লাগাবার জন্য ব্যাস্ত । তাই দলনী দাসী কুলসুমকে সঙ্গে নিয়ে গোপনে গুরগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং যুদ্ধ যাতে না বাঁধে সেই চেষ্টা করার পরামর্শ দেন । গুরগণ তা মানতে না চাইলে। দলনী ক্রুদ্ধ হয়ে নবাবকে বলে গুরগণের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবার ভয় দেখালে গুরগণই এমন ব্যাবস্থা করেন যাতে দলনী আর নবাবের প্রসাদের প্রবেশ করতেই পারেন না । ভগিনীর প্রতি স্নেহ মমতার থেকেও তাঁর কাছে গুরুত্ব পেয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ । গুরগণের জন্যই দলনীর জীবনে সর্বনাশ নেমে এসেছে
। নবাবের সঙ্গে ইহজীবনে আর তাঁর মিলন হয়নি । তাই উপন্যাসের সমস্যার মূলে গুরগণ চরিত্রের যথেষ্ঠ গুরুত্ব রয়েছে ।
কোন মন্তব্য নেই