রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

এই সময় বাংলার যে সকল রাজপুরুষ নিযুক্ত ছিলেন তার মধ্যে গুরগণ খাঁ একজন সর্বশ্রেষ্ট এবং সবোত্বকৃষ্ট এই গুরগণ খাঁর পরিচয় দাও ।

 

বাংলা অনার্স এই সময় বাংলার যে সকল রাজপুরুষ নিযুক্ত ছিলেন তার মধ্যে গুরগণ খাঁ একজন সর্বশ্রেষ্ট এবং সবোত্বকৃষ্ট এই গুরগণ খাঁর পরিচয় দাও bangla Honours ai somoy banglar je sokol rajpurush nijukto chilen tar moddhe gurgon kha akjon sorbosreshtto abong sorbottokrishto ai gurgon khar porichoy dao


                       প্রশ্নের মান - ৫/৬


প্রশ্ন: " এই সময় বাংলার যে সকল রাজপুরুষ নিযুক্ত ছিলেন তার মধ্যে গুরগণ খাঁ একজন সর্বশ্রেষ্ট এবং সবোত্বকৃষ্ট এই গুরগণ খাঁর পরিচয় দাও ।

উত্তর:- গুরগণ খাঁ মীরকাসেমের সেনাপতি । তিনি জাতিতে আরমানি জন্মস্থান ইস্পাহান । শোনা যায় পূর্বে তিনি বস্ত্র ব্যাবসায়ী ছিলেন । উপন্যাসের সমস্যা তৈরী করতে এই চরিত্রটির ভূমিকা যথেষ্ঠ । গুরগন ছিলেন অত্যন্ত উচ্চাভিশালি । বাংলার শাসন ক্ষমতা নিজের করায়ত্ত করার অভিসন্ধি ছিল তাঁর মনে । তাই তিনি মনে মনে চাইতেন ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ বাধুক । নবারের সৈন্যরা সাহায্য ইংরেজ কে দেশ থেকে বিতারিত করে পরে নবাব কে ক্ষমতাচ্যুত করবেন । সেই উদ্দেশ্যই নিজের ভগিনী দলনী কে নবাবের অন্তপুরে প্রবেশ করিয়েছে । কিন্তু , দলনী মীরকাসেমের বেগম হয়ে তাকে ভালোবেসে গুরগণের স্বার্থের বিরোধী হয়ে ওঠে । গুরগণ যে দলনীর ভ্রাতা তা গোপন রাখা হয়েছিল সেই গুরগনের সুবিধাথে । এখন গুরগনের সুবিধা করে দেওয়ার । থেকেও দলনীর কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ন। নবাবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা । ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে নবাবের ক্ষতির সম্ভাবনা । অথচ গুরগণ যুদ্ধ লাগাবার জন্য ব্যাস্ত । তাই দলনী দাসী কুলসুমকে সঙ্গে নিয়ে গোপনে গুরগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং যুদ্ধ যাতে না বাঁধে সেই চেষ্টা করার পরামর্শ দেন । গুরগণ তা মানতে না চাইলে। দলনী ক্রুদ্ধ হয়ে নবাবকে বলে গুরগণের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবার ভয় দেখালে গুরগণই এমন ব্যাবস্থা করেন যাতে দলনী আর নবাবের প্রসাদের প্রবেশ করতেই পারেন না । ভগিনীর প্রতি স্নেহ মমতার থেকেও তাঁর কাছে গুরুত্ব পেয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ । গুরগণের জন্যই দলনীর জীবনে সর্বনাশ নেমে এসেছে 

। নবাবের সঙ্গে ইহজীবনে আর তাঁর মিলন হয়নি । তাই উপন্যাসের সমস্যার মূলে গুরগণ চরিত্রের যথেষ্ঠ গুরুত্ব রয়েছে ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন