তুমি অন্ধের অধিক অন্ধ , তাই বুঝিতে পার না যে , তোমার স্বামী তোমাকে যেরুপ ভালোবাসেন নারী জন্মে সেরূপ ভালোবাসা দুর্লভ ।" কে কাকে বলেছে ? এ কথার যথার্থ নিরূপণ করো
প্রশ্নের মান - ৫/৬
প্রশ্ন: " তুমি অন্ধের অধিক অন্ধ , তাই বুঝিতে পার না যে , তোমার স্বামী তোমাকে যেরুপ ভালোবাসেন নারী জন্মে সেরূপ ভালোবাসা দুর্লভ ।" কে কাকে বলেছে ? এ কথার যথার্থ নিরূপণ করো ।
উত্তর:- " তুমি অন্ধের অধিক , তাই .." এ কথাও চন্দ্রশেখরের প্রতিবেশীনী সুন্দরী বলেছে শৈবলিনীকে ।
[ ] লোরেষ্ট ফষ্ঠর শৈবলিনী কে অপহরণ করলে সুন্দরী দুঃসাহসের পরিচয় দিয়ে নাপিত বউ সেজে ফষ্ঠরের নৌকায় উঠে শৈবলিনীকে উদ্ধার করতে চেয়েছিল । পালাবার সুযোগ করে দিলেও শৈবলিনী পালাতে চায়নি । তার কথা বার্তায় জানা গেছে জ্ঞান তাপস , পূর্ন্য চরিত্র চন্দ্রশেখর শৈবলিনীর মনে ধরেনি । বয়সের ব্যবধান তো আছেই । আরো রয়েছে চন্দ্রশেখরের শান্ত , শীতল , কামনা শূন্য। আচরণ । শৈবলিনীর মতো সদ্যযৌবনবতী মেয়েমনে ধরেনি । কিন্তু চন্দ্রশেখর যে স্ত্রীকে সত্যিই ভালোবাসতেন , সে প্রমাণ আমরা পেয়েছি । শৈবলিনীর অপহরণের পূর্ব রাত্রে ঘুমন্ত শৈবলিনীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে অনেকক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থেকেছেন । তার মনে হয়েছে কেউ যেন কুসুম রাশি ঢেলে রেখেছে । দন্ডপংক্তি মুক্তাসদৃশ মনে হয়েছে । এমন সৌন্দর্যময়ী রমণী রাজার ঘরে শোভা পেতে পারত তিনি তাকে বিবাহ করে সেটা হতে দেননি । একথা মনে উদয় হওয়ায় তিনি অশ্রমোচন করেছেন । নিজেকে দোষী মনে করেছেন । এতেই বোঝা যায় চন্দ্রশেখর শৈবলিনী কে ভালোবাসতেন তবে সে ভালোবাসা নিষ্কাম , স্নিগ্ধ , পবিত্র ভালোবাসা , তাতে হয়ত শৈবলিনীর মন উঠত না ।
[ ] ভালোবাসতেন বলেই চন্দ্রশেখর মুর্শিদাবাদ থেকে বেদগ্রামে ফিরে শৈবলিনীর অপহরণের কথা শুনে কষ্ট পেয়েছেন । রাত্রি জেগে জ্ঞানচর্চার পুঁথি গুলো অগ্নিদগ্ধ করে গৃহ ত্যাগ করেছেন । আমরা পড়ে জেনেছি গৃহ ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে তিনি অরণ্যে বা পর্বত গুহায় ধ্যানে বসেনি । শৈবলিনীকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছেন গুরু রমানন্দ স্বামীর সঙ্গে । কাজেই , চন্দ্রশেখর যে। শৈবলিনীকে ভালো বাসতেন , তাতে সংশয় নেই ।
কোন মন্তব্য নেই