আমার এ দুর্দশা কাহা হতে ? তোমা হতে । কে আমার জীবন অন্ধকারময় করিয়াছ ? তুমি ।" কে কাকে একথা বলেছে ? একথার তাৎপর্য কী ?
প্রশ্নের মান - ৫/৬
প্রশ্ন: " আমার এ দুর্দশা কাহা হতে ? তোমা হতে । কে আমার জীবন অন্ধকারময় করিয়াছ ? তুমি ।" কে কাকে একথা বলেছে ? একথার তাৎপর্য কী ?
উত্তর:- " আমার এ দুর্দশা কাহা হতে ? তোমা হতে ।" একথা শৈবলিনী বলেছে প্রতাপ কে । লরেন্স ফষ্টরের বজরা থেকে উদ্ধার করার পর রামচরণ শৈবলিনী কে প্রতাপের ঘরেই বিশ্রাম করার ব্যাবস্থা করে । না জেনে প্রতাপ ক্রুদ্ধ হয়ে শৈবলিনী কে তিরষ্কার করে । তখন সে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলি বলে ।
[ ] তিরস্কৃত হবার পর তাঁর এমন অবস্থা কেন হয়েছে , সে কৈফিয়ত দিতে গিয়ে শৈবলিনী কথা গুলি বলেছে । সে শৈশব থেকে ভালোবেসে আসছে প্রতাপ কে । সেই প্রতাপ তাকে বিবাহ করেনি। কেন , না , প্রতাপ শৈবলিনী জ্ঞাতি । ভালোবাসা সেখানে মর্যাদা পায়নি , জ্ঞাতি সম্পর্কই বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । প্রতাপ শৈবলিনী কে নিয়ে দূরে কোথাও পালিয়ে গিয়ে সংসার বাঁধতে সাহস দেখায়নি তাই মনের মানুষকে আপন করে পাওয়া তার হল না । তাকে বিবাহ করলেন জ্ঞানতাপস চন্দ্রশেখর যার বয়স তখন ছিল চার গুণ । তার উপর কামনাশুন্য । প্রেম ভালোবাসা , সোহাগ , আদর এসব শৈবলিনী চন্দ্রশেখরের কাছে কখনো পায়নি । তাই তাঁর সুখ মেলেনি । তাই সে সুখের আশায়। প্রতাপ কে পাবার আশায় ফষ্টরের বজরা থেকে যুবতী সুন্দরীর সাহায্য নিয়ে ফিরতে চায়নি । প্রতাপের চেষ্টায় ফিরেছে । এবং সাক্ষাৎ হবার পর নিজের দুর্দশার কারণ স্বরূপ প্রতাপকেই দায়ী করতে চেয়েছে ।
কোন মন্তব্য নেই