প্রশ্ন: " গল্পটি দেবুর বড় ভাল লাগিল । বিলুকে আজ গল্পটি বলিতে হইবে ।" কোন গল্প ? গল্পটি নিজের ভাষায় বলো ।
উত্তর:- " গল্পটি দেবুর ভালো লাগিল । " গল্পটি সাধু সন্ন্যাসী দের স্বর্গে যাওয়ার গল্প দেবুকে যা বলেছেন দ্বারিক বা দ্বারকা চৌধুরী । তিনি শুনে ছিলেন তীর্থ দর্শনে গিয়ে এক ঠাকুর মশাইয়ের কাছে ।
[ ] সত্যযুগে প্রায় সবাই সাধু সন্ন্যাসী ছিলেন । তপস্যা করতেন , ফলমূল খেতেন , অকাল মৃত্যুও ছিল না । দীর্ঘ দিন মর্ত্যে কাটাবার পর সেই সব সাধু পুরুষরা সশরীরে স্বর্গে যাবে বলে হাঁটতে শুরু করলো । পিঁপড়ের সারির মতো মানুষ চলতে লাগল । এত মানুষ এক সঙ্গে স্বর্গে আসছে দেখে স্বর্গবাসীরা ভয় পেয়ে গেলেন । এই মানুষেরা পাপী নয় , সাধু , তাই তাদের ভয় দেখিয়ে ফেরানো যায় না । তাই শেষে নারায়ণ দেবতাদের উপায় বলে দিলেন । তাঁর সেই পরামর্শ মতোই সাধু সন্ন্যাসীরা স্বর্গারোহণের পথের পাশেই অন্নপূর্ণা মন্দির তৈরী করিয়ে অধিষ্ঠান করলেন । এক অন্ন , পঞ্চাশ বাঞ্জ্জন তৈরী করলেন । স্বর্গযাত্রীদের আহ্বান করলেন , সেই অন্ন বঞ্জ্জোন গ্রহণ করে কিঞ্চিৎ বিশ্রাম নিতে । সেই সুস্বাদু অন্ন বাঞ্জ্জনের লোভে অনেক যাত্রীই সেখানে থেকে গেল । কেউ কেউ রওনা হল ।
[ ] নারায়নের পরামর্শে এবার আলেমকে মা লক্ষ্মী । তিনি পথের পাশে স্বর্ণপুরী তৈরী করলেন । সেখানে সবাই সোনার । ধুলোও সোনার । মুগ্ধ তীর্থ যাত্রীরা লুব্ধ হয়ে গেল । তারা যাত্রী বন্ধ করে সেখানেই থেকে গেল । আর কিছু সংখ্যক যাত্রী চলতে লাগল ; তারপরে তাদের ঠেকাতে আরো একটা মন্দির তৈরী হল । সেখানে অপরূপ সুন্দরী অপ্সরার দল মালা হাতে দাঁড়াল । অপ্সরাদের সান্নিধ্য পাবার জন্য প্রায় সকলেই থেমে গেল । কিন্তু না , তার পরেও " একটা কি নড়ছে ।" স্বর্গের পথে । একজন মানুষ । নারায়ণ বললেন ," স্বর্গদ্বার খুলে রাখো ।" পারিজাতের মালা পরিয়ে তাকে স্বর্গে স্বাগত জানানো হল । স্বর্গে যেতে হলে যে ভোগ বিলাসিতা , সুখ , সম্পদ সব ত্যাগ করে কেবল স্বর্গকেই লক্ষ্য করতে হয় , সত্য বোঝাবার ব্যাপারে গল্পটি ভালো বলেই দেবুর মনে হয়েছে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন