ফসিল গল্পে কুর্মি প্রজাদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিচয় দাও প্রশ্নোত্তর
উত্তর:- সুবোধ ঘোষের “ ফসিল ” গল্পে কুর্মি প্রজাদের কথা উঠে এসেছে । এরা মহারাজার প্রজা কিন্তু এদের শিক্ষা দীক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নতির ব্যাপারে মহারাজা কখনো কোনো চিন্তা-ভাবনা করেন নি । বরং বিলাস পরায়ন রাজার অর্থের অভাব ঘটলেই প্রজাদের শোষণের ব্যবস্থা করতেন । শোষণ পীড়নে অতীষ্ট হয়ে ভিল প্রজারা অন্যত্র চলে গেলেও কুর্মিরা বাপ ঠাকুরদার ভিটে ছেড়ে যায়নি । রুক্ষ জমিতে খুব কষ্টে চাষ করে ভুট্টা যব আর জনার ফলায় । তার অধেকটাই নিয়ে যায় মহারাজার তসিলদার । মহারাজার ঘোড়ার খাবার হবে । দিতে না চাইলে রাজার সেপাইরা মেরে ধরে কেড়ে নিয়ে যায় । প্রজাদের নিরাপত্তা কিছুই ছিল না । বণিকরা খনি প্রতিষ্ঠা করলে সেখানে নগদ পারিশ্রমিকের আশায় অনেক কুর্মি কুলির কাজ নেয় । কিছুটা আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ও সুযোগ সুবিধা তারা পায় । কিন্তু নিরাপত্তা সেখানেও তাদের ছিল না । খনির পিট বসে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলে ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা , মৃত্যুটাই গোপন করা হত ।
কোন মন্তব্য নেই