ভিখু কী উপায়ে পাঁচীকে রাখনি হিসেবে পেয়েছে ? আলোচনা করো । তারা কোথায় ঘর বাঁধার উদ্দেশ্য যাত্রা করেছিল ? প্রশ্নোত্তর
উত্তর:- ভিখারী জীবন গ্রহণ করার পর ভিখুর শরীর মন আগের মত হয়ে উঠলেও নারী সঙ্গ ছিল না । যুবতী ভিখারিনী পাঁচীকে তার পছন্দ হয় । প্রস্তাবও দেয় । কিন্তু চালচুলোহীন ভিখু কে পাঁচী পাত্তা দেয়নি । সে থাকত বসির মিয়ার সঙ্গে । বসিরের নিজস্ব ঘর ছিল , রোজগার ভালো ছিল , সঞ্চিত টাকাও ছিল ।
[ ] এই বসির কে পরলোকে পাঠাতে না পারলে পাঁচী তার হবে না , এটা বুঝেই ভিখু বসির কে খুন করবার পরিকল্পনা করে । খুন করার মতো কোনো অস্ত্র তার নেই । কুড়িয়ে পাওয়া একটা লোহার শিক পাথরে ঘষে ঘষে এক মাথা চোখা করে সেটাকেই অস্ত্র হিসেবে নিয়ে এক রাতে রওনা হল । বসিরের বাড়ির দিকে । বসির কে অনুসরণ করে একদিন তার বাড়িটা চিনে গিয়েছিল সে । ঘরের ঝাপের দরজা সরিয়ে ঘরে ঢুকে ভিখু একটু ভাবে । অন্ধকারে হৃদপিণ্ডের অবস্থান বুঝতে না পেরে চোখা শিখটা বসিরের ব্রহ্ম তালুতে তিন আঙুল পরিমাণ ঢুকিয়ে দিল । মৃত্যু নিশ্চিত করতে বা হাতে গলাও টিপে ধরে । পাঁচী ভয় পেয়ে চিৎকার করতে গেলে ভিখু বলে , “ চুপ থাক ; চিল্লাবি তো তোরেও মাইরা ফেলুম ।”
[ ] বসিরের দেহ নি:স্পন্দ হয়ে গেলে ভিখু নিজের কীর্তি দেখে খুশি হয় । তারপর ধমক দিয়ে পাঁচীকে আলো জ্বালাতে বলে । বসিরের টাকা পয়সা কোথায় আছে সেটা জেনে নিয়ে , সেগুলো সংগ্রহ করে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে চলল ।
[ ] ঘর বাঁধার উদ্দেশ্যে ভিখু আর পাঁচী চলেছিল সদর শহরে । সেটা ঠিক কোথায় , স্পষ্ট করে বলা যায় না
কোন মন্তব্য নেই