ফসিল সামন্ততন্ত্রের কি কি নমুনা লেখক তুলে ধরেছেন তা নিজের ভাষায় লেখো প্রশ্নোত্তর
উত্তর:- সুবোধ ঘোষের “ ফসিল ” গল্পের মহারাজা হলেন সামন্ততন্ত্রের প্রতিনিধি । যুগ পাল্টেছে রাজাদের আধিপত্য আর আগের মত নেই । কিন্তু অঞ্জন গড়ের মহারাজা আধিপত্য লিপ্সু । সামন্ততান্ত্রিক অভিজাত খোয়াতে তিনি আগ্রহী নন । তাই যথাসাধ্য চেষ্টা করেন সাবেক রীতিনীতি অক্ষুন্ন রাখতে । মহারাজার এক কুড়ির উপর উপাধী । ত্রিভুবনপতি , নরপাল , ধর্মপাল , অরাতিদমন ইত্যাদি । সাবেক কালের কেল্লাটা লুপ্তশ্রী , কিন্তু পাথরের গাঁথুনি এ খানে অটুট । কেল্লার ফটকে বনো হাতির জীর্ণ কঙ্কালের মত দুটো মরচে পড়া কামান । তার নলের ভেতর পায়রার ডিম পাড়ে , ছায়ায় ক্লান্ত কুকুর ঝিমেয় । দপ্তরে দপ্তরে পাগড়ি আর তরকারির ঘটা । দেওয়ালের খুটোর মতো ঢাল । বিভিন্ন পদের নামও সামন্ততান্ত্রিক গন্ধবহ । সচিব , ফৌজদার , ইত্যাদি । প্রজা শাসনের জাঁক যমজ নজর কাড়ে । প্রতি রবিবারে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে চিড়ে গুর বিতরণ করা হয় । সংক্রান্তির দিনে মহারাজ হাতির পিঠে চরে বের হন প্রজাদের দর্শন দিতে , আশীর্বাদ করতে । তার জন্মদিনে প্রজাদের রামলীলা শোনাবার ও ব্যাবস্থা হয় । মহারাজার রাজকীয় শখ পোলো খেলা । তাঁর জন্য দামি দামি বিদেশী ঘোড়া । রাজা তাদের ভালোবাসেন । লেখক এই সব বর্ণনার মধ্যে দিয়েই মহারাজার সামন্ততান্ত্রিক আভিজাত্য নমুনা তুলে ধরেছেন ।
কোন মন্তব্য নেই