সাঁঝ সকালের মা গল্পের জটির জীবিকার পরিচয় দাও প্রশ্নোত্তর
উত্তর:- মহাশ্বেতা দেবী “ সাঁঝ সকালের মা ” গল্পের প্রধান চরিত্র জটি ঠাকুরনী প্রথমে ছিল পাখমারা সম্প্রদায়ের মেয়ে । জাল দিয়ে সে পাখি ধরত । উৎসব কান্দরির সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে তার জীবন কিছুদিন সুখেই কাটে । উৎসব নানান কাজে উপার্জন করত , জুটি কেবল দুটি রাঁধত আর উৎসব কে ভালোবাসত । শখ মেটাত । উৎসব অকালে মারা গেলে জটি সমস্যায় পড়ে । শিশু পুত্রকে নিয়ে সে এক সন্ন্যাসীর কাছ থেকে লাল চেলি ও ত্রিশূল নিয়ে দূরবর্তী এক স্থানে গিয়ে জটি ঠাকুরণী হয়ে আশ্রম গড়ে বসে । সেখানে দিনের বেলায় সে হয় ঠাকুরনী , আর সাঁঝ থেকে সকাল পর্যন্ত সে হয় সাধনের মা । উপার্জনের ধান্দা নিয়েই সে হয় ঠাকুরণী । ভক্তের পূজো নেয় , ঠাকুমার কাছে যেটুকু অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল , তারই ভিত্তিতে মানুষকে ওষুধ দিত , আশীর্বাদ দিত , বিনিময়ে নিত এক পালি চাল । এই চাল টাই ছিল তার কাছে খুব দরকারী । অনেক পাপী তাপি জটির কাছে আসত পাপ মুক্তির আশায় । জটি সবাই কে সান্ত্বনা দিত আর তাদের সান্ত্বনা দেবার জন্যই আঁতুরে মরা ছেলে নখ , গসাপের কণ্ঠ হার , ধনেশ পাখির তেল সংগ্রহ করে রাখত । ঠাকুরনী যে চাল পেত রাত হলে সেই চাল সিদ্ধ করে পুত্র সাধনকে খাওয়াত । হাবা ছেলে সাধনের খিদেটা ছিল অনেক বেশী । তার খিদের অন্ন জোগাতেই জটি কে ঠাকুরণি হয়ে ভন্ডামীর আশ্রয় নিয়ে উপার্জনের চেষ্টা করতে হয়েছে ।
কোন মন্তব্য নেই