১। " অনধিকার প্রবেশ " গল্পটি কোন পত্রিকার কোন সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয় ?
উত্তর:- " অনধিকার প্রবেশ " গল্পটি " সাধনা " পত্রিকার শ্রাবণ ১৩০১ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয় ।
২। " অনধিকার প্রবেশ " গল্পের প্রধান চরিত্র টির নাম কি ? পরিচয় দাও ?
উত্তর:- " অনধিকার প্রবেশ " গল্পের প্রধান চরিত্র জয়কালী । সে পরলোকগত মাধবচন্দ্রর বিধবা স্ত্রী , রাধানাথ জিউর মন্দিরের অধিকারিণী ।
৩। " এক বালক আর এক বালকের সহিত একটি অসম সাহসিক অনুষ্ঠান সমন্ধে বাজি রাখিয়াছিলাম ।" বাজিটি কী ?
উত্তর:- অসম সাহসিক বাজিটি হল ঠাকুর বাড়ীর মাধবী বিতান থেকে ফুল তুলে আনতে পারা ।
৪। জয়কালীর চেহারা কেমন ছিল ?
উত্তর:- জয়কালী দীর্ঘকার , দৃঢ পুরুষালী চেহারা , তীক্ষ্ণ নাসা , বেশ রুক্ষ এবং লালিত্যহীন ।
৫। মানুষের কোন কোন আচরণ জয়কালীর সহ্য হত না ?
উত্তর:- মানুষের পরচর্চা , পরণিন্দার প্রবণতা , ছোট কথা , নাকি কান্না , আলস্য এ গুলো জয়কালীর সহ্য হত না ।
৬। কোন ধরনের পুরুষরা জয়কালী কে ভয় করত ? কেন ?
উত্তর:- যে পুরুষরা চন্ডী মন্ডপে বসে অকাজে সময় নষ্ট করত তারা । কারণ এই ধরনের পুরুষদের জয়কালী খুবই ঘৃনা করত ।
৭। যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে বা সমাবেশে জয়কালী উপস্থিত থাকলে তাকেই সবাই প্রধান ভাবত কেন ?
উত্তর:- জয়কালীর ব্যাক্তিত্ব , সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা এবং কড়া মনোভাবের জন্যই সবাই তাঁকে যেকোনো অনুষ্ঠানে প্রধান্য দিত ।
৮। জয়কালীর কয় সন্তান ? কাদের সঙ্গে সে থাকত ?
উত্তর:- জয়কালী নিঃসন্তান । তার মাতাপিতৃহীন দুই ভাতুষ্পুত্রের সঙ্গে সে থাকত ।
৯। রাধানাথ জিউর মন্দিরে কজন পূজারী ছিল ? তারা কাকে বেশী ভয় পেত ?
উত্তর:- রাধানাথের মন্দিরে দুজন ব্রহ্মান পূজারী ছিল । তারা দেবতার থেকেও জয়কালী কে ভয় পেত তার কড়া মেজাজের জন্য ।
১০। " ইহা তাহার স্বামী পুত্র তাহার সমস্ত সংসার ।" " ইহা " কী ? কার সংসার ?
উত্তর:- রাধানাথ জিউর মন্দির এবং মন্দিরের সমস্ত কিছু জয়কালীর সমস্ত সংসার ।
১১। মন্দিরের বাধবীবিতান থেকে ফুল তুলে আনা সহজ ছিল না । কেন ?
উত্তর:- মন্দিরের অধিকারিণী জয়কালীর কড়া নজরদারি ও শাসনের কারণেই ফুল তুলে আনা সহজ ছিল না ।
১২। সহোদরা ভগিনীর সঙ্গে জয়কালীর বিচ্ছেদ ঘটার উপক্রম হয় কেন ?
উত্তর:- সহোদরার স্বামী ছিল অনাচারী । কুক্কুটের মাংস ভক্ষণকারি । তাই জয়কালী মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষার উদ্দেশ্য ভগিনীপতি কে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেখেনি । এজন্যেই সহোদরার সঙ্গে বিচ্ছেদের উপক্রম হয় ।
১৩। নলিনের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ?
উত্তর:- নলিনের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য যেখানে বিপদ , সেখানেই তার আকর্ষণ । যেদিকে বাঁধা , সেদিকেই তার গমনেচ্ছা ।
১৪। " আশ্রিত লতা ও বালক একত্রে ভূমিস্যৎ হইল ।" লতা ও বালকটির পরিচয় দাও ?
উত্তর:- " লতা " বলতে মন্দির আশ্রয় করে ওঠা মাধবীলতা গাছটিকে বলা হয়েছে। আর বালকটি হল মন্দিরের বড় অধিকারিণী জয়কালীর ভ্রাতুস্পুত্র , মিলন , যে মাধবী বিতান থেকে ফুল আনতে পারবো বলে বাজি ধরেছিল ।
১৫। মন্দিরের ফুল চুরি করার দুঃখ সাহস দেখাতে গিয়ে লনিনের কী শাস্তি হয় ?
উত্তর:- মন্দিরের ফুল তুলে আনতে গিয়ে ধরা পড়ে নলিন শাস্তি স্বরূপ চপেটাঘাত তো পেলই তার বৈকালিক আহারও বন্ধ হল ।
১৬। মন্দিরের মাধবী লতার মধ্যে শুকর ছানা দর্শন " বিভৎস ব্যাপার " কেন ?
উত্তর:- হিন্দু মন্দিরে শূকর কে অপবিত্র ভাবা হয় । তাই মন্দিরে শুকরের প্রবেশ নিষিদ্ধ । তবু সেই মন্দিরেই শুকর ছানার দর্শন অবশ্যইতো বিভৎস ব্যাপার ।
১৭। মন্দিরে ঢুকে পড়া শুকর ছানাটির কী পরিণতি হয় ?
উত্তর:- শুকর ছানাটির মালিকরা তাকে নিতে এলেও মৃত্যু ভয়ে ভীত ছানাটিকে বাঁচাবার জন্য জয়কালী ডোমদের ফিরে যেতে বলেছে । ছানাটা কে বের করে দেয়নি ।
১৮। কোন বিতর্কের উল্লেখ করে অনধিকার প্রবেশ গল্পটির সূচক ?
উত্তর:- ঠাকুরবাড়ীর মাধবীলতা থেকে ফুল ছিঁড়ে আনা সম্ভব কিনা এই বিতর্কের কথা উল্লেখ করে গল্পের সূচনা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন